ভাতার: পুর নিয়োগ থেকে শিক্ষক নিয়োগ, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে বিগত কয়েক মাস ধরেই শোরগোল গোটা বাংলায়। মামলা চলছে হাইকোর্টে। জেলেরও ঘানি টানছেন একাধিক তাবড় তাবড় সব নেতা। এরইমধ্যে এবার অদ্ভুত এক খবরে শোরগোল পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। ২০ বছর ধরে বোনের চাকরি করছেন দিদি। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও অভিযোগ উঠেছে এমনটাই। সূত্রের খবর, ভাতার ব্লকের সাহেবগঞ্জ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নোনাডাঙ্গা শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে বাম জমানায় ২০০৪ সালে একটি নিয়োগ হয়েছিল। তখন থেকেই প্রায় দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চাকরি করে আসছেন সঙ্গীতা ভট্টাচার্য। অভিযোগ, তাঁর চাকরির কোনও আইনি ভিত্তি নিয়ো। পুরো নিয়োগটিই অবৈধ।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি ব্লক অফিসে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে কাজকর্মের আপগ্রেডেশন হচ্ছিল। তখনই সঙ্গীতা দেবীর নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ল। কিন্তু, নিয়োগে গরমিল ধরতে কেন লেগে গেল দুই দশকের বেশি সময় সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহল থেকে। সূত্রের খবর, ওই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে ২০০৪ সালে শিক্ষিকা হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন সুজাতা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু অভিযোগ, তাঁর পরিবর্তে ২০ বছর ধরে ওই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে কাজ করছেন সুজাতা চট্টোপাধ্যায়ের দিদি সঙ্গীতা ভট্টাচার্য। তিনিই নিচ্ছেন বেতন।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ভাতার ব্লকে। নিয়োগে অসঙ্গতি যে ধরা পড়েছে তা মেনে নিয়েছেন ভাতারের বিডিও অরুণ কুমার বিশ্বাস। ইতিমধ্যেই তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি বাসুদেব যশ বলেন, ২০০৪ সালে সিপিএমের আমলে এই বেনিয়ম হয়েছে। প্রশাসনিক স্তরে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়ার শেষেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। এরপরই সিপিএমের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তাঁর দাবি, বাম নেতারা ওই মহিলার বেতনের একটা নিতেন। সেই টাকা নিয়ে তাঁরা আসল ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে রেখেছেন। যজিও অভিযোগ উড়িয়েছে বামেরা। ভাতারের প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা সুভাষ মণ্ডল বলেন, সিপিএমের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ উঠছে তা পুরোটাই মিথ্যা।