বর্ধমান: ঘরের কাছে ডলফিন দেখতে চান? কপালে থাকলে, দামোদরের চড়ে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ দেখা মিলতেই পারে ডলফিনের। হতেই পারে আপনার সামনেই ঝুপ করে মুখ উঁচিয়ে লাফ দিল কোনও ডলফিন। রবিবার এমনই ঘটনার সাক্ষী থেকেছে গলসিবাসী। পূর্ব বর্ধমানের গলসির শিল্লাঘাটে রবিবার দেখা মিলেছে একটি আস্ত ডলফিনের। রবিবাসরীয় সকালে দামোদরের পাড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই এই দৃশ্য দেখতে পেয়েছেন। নদীর জলের স্রোতের বিপরীতে ডলফিনটিকে যেতে দেখেন তাঁরা। আর এই খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। দামোদরের পাড়ে ভিড় জমাতে শুরু করেন উৎসক মানুষরা। সবার কৌতুহলী চোখ। যদি আবার একঝলক দেখা মেলে ডলফিনের, সেই অপেক্ষায় ভিড় করেছিলেন অনেকে।
রবিবার অনেকেই সেই ডলফিনের দেখা পেয়েছেন দামোদরের জলে। এমন দৃশ্য কি আর গলসিতে রোজ রোজ দেখা যায়? তাই চোখের সামনে দামোদরে ডলফিনের দৃশ্য অনেকেই মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করে রাখেন। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, রবিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ডলফিনটিকে দেখা যায়। তবে দুপুর আড়াইটার পর আর দেখা যায়নি সেটিকে। স্থানীয়দের অনুমান, ডলফিনটি সমুদ্র বা অন্য কোনও বড় নদী থেকে দামোদরে এসে গিয়েছে। এদিকে রবিবার ওই ডলফিনের দর্শন মেলার পর সোমবারও অনেক উৎস্যুক স্থানীয় বাসিন্দা ভিড় জমিয়েছিলেন দামোদরের পাড়ে। যদিও এদিন আর ডলফিনের দেখা মেলেনি।
এই বিষয়ে অতিরিক্ত বনাধিকারিক সোমনাথ চৌধুরী জানান, “আমরা নজর রেখেছি। আগামিকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের বনকর্মীদের সঙ্গে আমি নিজেও দামোদরে গিয়ে তদারকি করব।”
পূর্ব বর্ধমান বন দফতরের ডিএফও নিশা গোস্বামী জানান, “ওখানে যে মৎস্যজীবীরা আছেন, তাঁরাই বিষয়টি জানিয়েছেন। আমাদের কর্মীরা সেখানে গিয়েছেন, কিন্তু আমরা এখনও কিছু দেখতে পাইনি, তাই নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না। তবে হ্যাঁ, ওখানে দেখা গিয়েছে। গঙ্গার জল মিষ্টি জল। দামোদরেও মিষ্টি জল। তাই থাকতেই পারে। তবে দামোদরে সাধারণত থাকে না। হয়ত কোনও জায়গা থেকে জল ঢোকার কারণে এটি হতে পারে। তবে আমাদের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের কর্মীরা নজর রাখছেন সেখানে।”