কাটোয়া: এমনিতেই নুন আনতে পান্তা ফুরায় সংসারে। গৃহকর্তার চাষাবাদ থেকে আয় মূল্যবৃদ্ধির বাজারে বড়ই নগন্য। এমতাবস্থায় দুমুঠো ভাতই নিয়েই আশঙ্কার দোরগোড়ায় গোটা পরিবার। একটি দুর্ঘটনা খাদের কিনারে করিয়ে দিল সেই পরিবারকে। সব থেকে পড়ে মৃত্যু হল গৃহকর্তার।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়া জেলার কালিগঞ্জ থানা এলাকার ছুটিপুর গ্রামের মধ্যপাড়ায়। ওই গ্রামের বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা শেখ (৭২)। পেশায় পাট কৃষক। শুক্রবার দুপুরে তিনি বাড়ির ছাদে সেই পাট শুকোতে নিয়ে গিয়েছিলেন। কাজ করার সময় হঠাৎই মাথা ঘুরে ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান তিনি। মাথা ফেটে গুরুতর জখম হন। আওয়াজ শুনে বাইরে বেরিয়ে আসেন পরিজনরা। ছুটি আসেন প্রতিবেশীরাও। তাঁরাই ওই ব্যক্তিকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যান কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসায় সেভাবে সারা দেয়নি আহতের শরীর। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই শনিবার ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিবেশীদের বক্তব্য, গোলামের পরিবার প্রান্তিক স্তরের। অর্থ কষ্ট আগে থেকেই ছিল। গোলামের রোজগারের উপর অনেকটা নির্ভরশীল ছিল। ঘটনায় দিন দুপুরবেলা চাষের পাট শুকনোর কাজ দেখতে ছাদে উঠেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই মাথা ঘুরে নিচে পড়ে গিয়েছিলেন।