পূর্ব বর্ধমান: হুমকি যেন থামছেই না। ভোট (Panchayat Election 2023) না দিলে মিলবে না সরকারি প্রকল্পের সুবিধা, থমকে যাবে উন্নয়নের কাজ। ভোটমুখী বাংলায় দিকে দিকে এই হুমকি দিতে দেখা যাচ্ছে বিদায়ী প্রধান থেকে তৃণমূলের বহু নেতাকেই। জোড়াফুলে (Trinamool Congress) ভোট না দিলে আর পাওয়া যাবে না সরকারি সুযোগ-সুবিধা, শনিবারই এই হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছিল বীরভূমের তাতিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান মলয় রায়কে। এবার কার্যত একই সুর বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পরমেশ্বর কোনারের গলায়।
শনিবার বিকেলে তিনি পূর্ব বর্ধমানের আটাগড়ে নির্বাচনী সভায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে শুরু থেকেই বিরুদ্ধে অল আউট অ্যাটাকে নামতে দেখা যায় তাঁকে। বলেন, “চারদিকে ওরা সব জোট করেছে। বড়শুলের আম বাগানের নীচে বসে কথা হয়েছে ওদের। বিডিও অফিসে একসঙ্গে মিটিংয়ে যাচ্ছে। এখন এত মিল ওদের তা হয়তো ঘরের বউয়ের সঙ্গেও নেই। ভোটের রেজাল্ট বের হলে দেখব কত মিল থাকে!”
এরপরই একেবারে হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “তোমাদের নিজেদের বউরাই তোমাদের পরবর্তীতে গালাগাল দেবে। কারণ তোমাদের টাকাটা আটকে যাবে। তোমার বউয়ের লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা আটকে যাবে, কৃষক বন্ধুর টাকা আটকে যাবে।” তবে তাঁর এ মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “তৃণমূল কাউকেই হুমকি দেয় না কখনও। যদি কেউ তা করেও থাকে তা অনুচিত।” তবে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি পদ্ম শিবির। জেলা বিজেপির সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র কটাক্ষের সুরে বলেন, “ওরা বুঝতে পেরেছে ভোটে পরাজয় নিশ্চিত। তাই এসব ভুল বকছে। ওদের মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।”