বর্ধমান: রোজের মতোই প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন সকলে। কিন্তু সকাল-সকাল এমন দৃশ্য দেখতে হবে তা হয়ত কল্পনা করতে পারেননি কেউ। মুখ ঢাকা অবস্থায় পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। প্রথমে তাঁকে কেউ চিনতে পারেননি। কিন্তু পরে আঁতকে উঠলেন সকলে।
পূর্ব বর্ধমানের রায়ান পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়া এলাকা। সেখানে স্থানীয় এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। মৃত যুবকের নাম শেখ সাহিন (১৭)। বিগত দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। রবিবার সকালে ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় ডিভিসির ক্যানেলে সাহিনের মৃতদেহ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। মুখ ঢাকা অবস্থায় মৃতদেহ পরে থাকায় প্রথমে স্থানীয়রা চিনতে পারেনি। পরে পুলিশ এসে ক্যানেল থেকে মৃতদেহ তোলার পর সাহিনকে চিনতে পারে পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
এলাকাবাসী সূত্রে খবর, সাহিনের বাবা-মা আমেদাবাদের একটি মাংস কারখানায় কাজ করে। সাহিন তাঁদের সঙ্গে সেখানেই থাকতেন। ঈদ কাটাতে মাস দুয়েক আগে বর্ধমানের ডাঙ্গাপাড়ায় আসে সে। গত দুই দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না সাহিনকে। পরিবারের দাবি খুন করা হয়েছে তাঁদের ছেলেকে। ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছে পরিবার। গোটা ঘটনায় তদন্তে নেমেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
সাহিলের দাদা জানায়, ‘দু’দিন ধরে খুঁজে পাচ্ছিলাম না ওকে। এরপর থানায় অভিযোগ দায়ের করি।পুলিশ জানিয়ে বলল নেই এখানে। হাসপাতালে খোঁজ নিতে বলল। তারপর হাসপাতালে যাব বলে ঠিক করলাম। কিন্তু তার আগেই মৃতদেহ উদ্ধার হল। ও মা বাবার সঙ্গে বাইরে থাকত। ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে এসেছিল। আজকে আমার বন্ধু ফোন করে বলল একটা মৃতদেহ পাওয়া গেছে। মুখে কাপড় ঢাকা ছিল। সেই কাপড় তুলতেই বুঝলাম আমার ভাই। আমাদের অনুমান ওকে খুন করা হয়েছে। দুদিন আগে বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়েছিল। এখন ওর বন্ধুকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। থানায় অভিযোগ জানাব।’