কালনা: যুবতীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ (Physical Harassment Case)। এক বার নয়। প্রথমে একবার বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ। ধর্ষণের সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছিল অভিযুক্ত। পরে সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আবারও ধর্ষণের অভিযোগ। পূর্ব বর্ধমানের ওই ঘটনায় অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। আজ অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করল কালনা আদালত (Kalna Court)। ১১ বছরের কারাদণ্ড এবং সঙ্গে ১০ হাজার টাকার আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে।
২০১৮ সালে এই পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়েছিল। প্রায় পাঁচ বছর পর অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করল আদালত। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানা এলাকায়। যে যুবতীর উপর এই নারকীয় অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে, সেই যুবতী অভিযুক্তর প্রতিবেশী। একদিন যুবতীকে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেছিল ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি। প্রতিবেশী ও পরিচিত হওয়ার কারণে, মনে কোনও সন্দেহ না নিয়েই নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে চলে গিয়েছিল যুবতী। অভিযোগ, সেই সময়েই তাঁকে ধর্ষণ করে ওই প্রতিবেশী। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের সময়ে তা ভিডিয়ো করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। পরবর্তী সময়ে সেই ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আবারও ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ যুবতীর।
অভিযোগ, দ্বিতীয়বার ধর্ষণের পর শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তরুণী। তখন চিকিৎসকের কাছে গেলে জানতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। এরপর পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা যুবতী। ২০১৮ সালে নাদনঘাট থানায় ওই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান তিনি। শুরু হয় তদন্ত। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। তারপর দীর্ঘদিন ধরে চলে আদালতের শুনানি পর্ব। মোট ১২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত আজ অভিযুক্ত ওই প্রতিবেশীকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিল কালনা আদালত।