AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kalna Village: কালনার এই গ্রামের মেয়েদের বিয়ে ঠিক হলেও ভেঙে যায় একটি কারণেই! স্বাধীনতার পর থেকে এখনও অভিশাপ বহন করে চলেছে ‘ভূতগ্রাম’

Kalna Village: কয়েক মাসের মধ্যেই এই প্রকল্প বিকল হয়ে পড়ে। প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে আর গ্রামে জ্বলে না আলো। সন্ধ্যা নামলেই সেই আধার নেমে আসে গ্রাম জুড়ে।

Kalna Village: কালনার এই গ্রামের মেয়েদের বিয়ে ঠিক হলেও ভেঙে যায় একটি কারণেই! স্বাধীনতার পর থেকে এখনও অভিশাপ বহন করে চলেছে 'ভূতগ্রাম'
কালনার এই গ্রামে বিদ্যুৎ নেই এখনও
| Edited By: | Updated on: Feb 10, 2023 | 8:04 AM
Share

পূর্বস্থলী: গ্রামের নাম দামপাল। নামে দাম থাকলেও যেন কোনও মূল্যই নেই গ্রামের বাসিন্দাদের। স্বাধীনতার পর থেকে গ্রামে পৌঁছায়নি বিদ্যুৎ। নেই উপযুক্ত চলাচলের রাস্তা। সন্ধ্যা নামার পর থেকেই আঁধারে ডুবে যায় গ্রাম। আড়ালে নাম ভূতগ্রাম। অভিযোগ, গ্রামের গ্রামবাসীদের মেলে না সরকারি সুযোগ সুবিধা। ভেঙে যায় বিয়ের সমন্ধ। গ্রামে আসতে চাই না আত্মীয় স্বজন। তবে ভোট এলেই গ্রামে আসেন নেতারা। এবার বিদ্যুৎ পৌঁছবে, মেলে প্রতিশ্রুতি। ভোট মিটে গেলেই আসে না বিদ্যুৎ, আসেন না নেতারা। কিন্তু এবার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ গোটা গ্রাম,আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিদ্যুৎ না এলে ভোট বয়কট। পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের পাটুলি পঞ্চায়েতের দামপাল গ্রাম। গ্রামটির অবস্থান পূর্ব বর্ধমান জেলার অধীনে হলেও গ্রামটি জুড়ে রয়েছে নদিয়া জেলার সঙ্গে। মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ভাগীরথী নদী। ৪৫ বছর আগে থেকে এই দামপাল গ্রামে বসতি গড়ে ওঠে। সেই থেকে আজও গ্রামে নেই বিদ্যুৎ।

গ্রাম লাগোয়া নদী থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যয়বহুল ও ব্যবস্থা নেই পরিকাঠামোর। যে কারণে নদী পার করে বিদ্যুৎ আনা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। তবে ২ বছর আগে সোলার প্যানেল বসিয়ে গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ সংযোগ দেয় বিদ্যুৎ দফতর। পরিবর্তে বিদ্যুৎ বিলের মতো মাসে মাসে টাকা নিত দফতর। কয়েক মাসের মধ্যেই এই প্রকল্প বিকল হয়ে পড়ে। প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে আর গ্রামে জ্বলে না আলো। সন্ধ্যা নামলেই সেই আধার নেমে আসে গ্রাম জুড়ে।

গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকায় দুর্ভোগের শেষ নেই গ্রামবাসীদের। রাত হলেই ভরসা হ্যারিকেন বা লণ্ঠনের আলোর। দিন মানেই মিটিয়ে ফেলতে হয় সংসারের যাবতীয় কাজ। পড়ুয়াদের লন্ঠন বা হ্যারিকেনের আলোতে পড়াশুনা করতে হয় রাতে। অসুস্থ রোগীকে অন্ধকারে রেখেই চলে সেবা। গ্রামে যুবক যুবতীদের বিবাহের সমন্ধ হওয়ার আগেই ভেঙে যায়। বর্ধমান জেলার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে মাটির কাঁচা পথ ও নদী পার করতে হয় গ্রামবাসীদের।

পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন ও নদিয়া জেলার সীমান্ত যুক্ত এই গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকলেও এই গ্রাম লাগোয়া নদিয়া জেলার বিভিন্ন গ্রামে আছে বিদ্যুৎ। রাত হলেই সেই গ্রাম গুলিতে জ্বলে আলো। শুধু মাত্র বর্ধমান জেলায় দামপাল গ্রাম অবস্থান হওয়ায় বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত এই গ্রাম,আক্ষেপ কয়েক হাজার গ্রামবাসীর।

আধুনিক সমাজে কবে দামপাল গ্রামে বিদ্যুৎ আসবে? এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান ঝর্ণা নাগ জানান, বিধায়ককে জানানো হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের পাশের নদিয়া জেলা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগের চেষ্টা করছেন। পঞ্চায়েতের সঞ্চালক সুমন্ত হালদার বলেন,”নদিয়া জেলার সংসদ মহুয়া মৈত্র ও ওই জেলার বিধায়ক এই গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।” এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় গ্রামবাসীদের ভোট বয়কট না করে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।