কাটোয়া : এত্ত বড় কাতলা! সাত সকালে বাজারে বেরিয়ে এমন সাইজ়ের মাছ দেখে তাজ্জব বনে গিয়েছেন সকলে। ৩২ কেজির এক পেল্লাই কাতলা মাছ। এমন বিশাল কাতলা রোজ দিন দেখা যায় না বাজারে। আর তাই দৈত্যাকায় কাতলা দেখতে ভিড়ও জমেছিল কাটোয়ার পানুহাট বাজারে। রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায় বাজারে। ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে ব্যবসা ছেড়ে ঘেমে নেয়ে একসার মৎস্য ব্যবসায়ীরা। শুধু তো আর ক্রেতাদের ভিড় নয়! ক্রেতার চেয়ে এত বড় মাছ দেখার জন্য ভিড় ছিল বেশি। উপচে পরা ভিড় কাতলা দেখার জন্য। আর এমন ৩২ কেজির মাছ চোখের সামনে দেখে, সেলফি তোলার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি কেউ। চলল ৩২ কেজির পেল্লাই কাতলার সঙ্গে সেলফি তোলার হিড়িক। সব মিলিয়ে সাত সকালেই হুলুস্থুল কাণ্ড পানুহাট বাজারে।
মধ্যযুগে একটি প্রচলিত কথা ছিল, ‘মৎস্য ধরিব খাইব সুখে’। আর বাঙালির মৎস-প্রেমের সুখ্যাতি তো রয়েছেই। তাই এই সুযোগ হাত ছাড়া করতে চাননি মাছে ভাতে বাঙালি। এত্ত বড়ো মাছের স্বাদ তো আর হাত ছাড়া করা যায় না। তাই খবর পেয়েই বাজারের ঝোলা হাতে সাত সকালেই পানুহাট বাজারে উপচে পড়া ভিড়। নিজ নিজ সাধ্যের মধ্যে যে যতটা পেরেছেন, মাছ কিনে নিয়ে গিয়েছেন। দর উঠেছিল ৪৫০ টাকা প্রতি কেজি। ৩২কেজি ওজনের এই কাতলা বাজারে উঠতেই নিমেষে শেষ। অনেকেই আবার দেরিতে বাজারে এসে সেই সুযোগ হাত ছাড়া করেছেন। তারা আবার কপাল চাপড়েছেন। অনেকের আবার আফসোস জামাই ষষ্ঠীতে এমন মাছ পাওয়া গেলে জামাই আদর বেশ জমিয়ে করা যেত।
বিশাল আকৃতি এই কাতলা মাছ হাওড়া থেকে কিনে আনেন কাটোয়ার এক মাছের আড়তদার। সেই আড়তদারের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকার নিলামে মাছটি কেনেন পানুহাটের মৎস্য ব্যবসায়ী মনজিত দাস। তিনি ৪২০ টাকা কেজি দরে মাছটি কিনে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। তবে দাম একটু বেশি হলেও পরোয়া করেনি শহরের খাদ্য রসিকেরা। কারণ একটাই। এমন সুযোগ তো আর রোজ রোজ মেলে না।