Katwa School: ঘণ্টা বাজানোর হাতুড়ি দিয়ে খুদে পড়ুয়ার মাথা ফাটানোর অভিযোগ, আটক শিক্ষক

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 30, 2022 | 3:42 PM

Katwa School: জানা যাচ্ছে, অতিরিক্ত গরমের জন্য স্কুলে ক্লাসরুম থেকে বাইরে বেরিয়ে এসেছিল দ্বিতীয় শ্রেণির কয়েকজন ছাত্র।

Katwa School: ঘণ্টা বাজানোর হাতুড়ি দিয়ে খুদে পড়ুয়ার মাথা ফাটানোর অভিযোগ, আটক শিক্ষক
কাটোয়া স্কুলে বিক্ষোভ

Follow Us

কাটোয়া: গরমের জন্য ক্লাস রুমের বাইরে বার হয়েছিল দুই ছাত্র। শাস্তি দিতে স্কুলের ঘণ্টা বাজানোর হাতুড়ি দিয়ে মেরে দ্বিতীয় শ্রেণির দুই ছাত্রের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে কাটোয়ার শ্রীখণ্ড গ্রামের শ্রীখণ্ড প্রাথমিক বালক বিদ্যালয়ে। আরও এক ছাত্রের হাতেও হাতুড়ি দিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে স্কুলে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা।

জানা যাচ্ছে, অতিরিক্ত গরমের জন্য স্কুলে ক্লাসরুম থেকে বাইরে বেরিয়ে এসেছিল দ্বিতীয় শ্রেণির কয়েকজন ছাত্র। সেই সময়ে ক্লাসে ঢুকছিলেন শেখ ইসরাইল নামে অভিযুক্ত শিক্ষক। কেন ক্লাসরুমের বাইরে বেরিয়েছে, তা নিয়েই খুদে পড়ুয়াদের বকাবকি শুরু করেন ওই শিক্ষক।

স্কুল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ক্লাসরুমের বাইরেই চেয়ারে রাখা ছিল স্কুলের ঘণ্টা বাজানোর হাতুড়ি দিয়ে মারধর শুরু করেন। অভিযোগ, দ্বিতীয় শ্রেণির দুই ছাত্রের মাথা ফেটে যায়। আরেক ছাত্রের হাতেও প্রচণ্ড হাতে লাগে বলে অভিযোগ।

বিষয়টি ছাত্ররা ছুটির পর অভিভাবকদের জানালেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিভাবকরা স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অভিযোগ, এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার স্কুলে বাজেভাবে ছাত্রদের মারধর করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।

শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের অভিযোগ, এর আগে বেল্ট খুলে খুদে পড়ুয়াদের মারধর করার পাশাপাশি, কঞ্চি দিয়ে হাতের আঙুলে চাপ দেন বলেও অভিযোগ। প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে উত্তেজিত অভিভাবকরা শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়ে স্কুল ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে কাটোয়া থানার পুলিশ এসে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করেছে। তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, “মারা আমাদের নিয়মে নেই। বাচ্চাগুলোকে আমরা সন্তানের মতন করেই দেখি। তবে কোনও কোনও বাচ্চা বেশি দুষ্টুমি করলে আমরা তাদের অভিভাবকদের ডেকে বলি। যখন এই ঘটনা ঘটেছে, তখন আমি স্কুলে ছিলাম না, অফিসিয়াল কাজে বাইরে গেছিলাম। পরে স্কুলে এসে জানতে পারি। আমি বাচ্চাগুলোর বাড়িতে গিয়েও খোঁজ নিয়েছি।”

Next Article