পূর্বস্থলী: রাতে হিমেল অনুভূতি, শীতের আমেজ পড়তে শুরু করেছে বাংলায়। শীতের মরশুম মানেই বাঙালির পায়ে সর্ষে। ছুটির দিনে কাছেপিছে ঘুরে আসার জন্য একটি অন্যতম সেরা ঠিকানা হতে পারে পূর্ব বর্ধমানের চুপি পাখিরালয়। শান্ত, নিরিবিলি, সবুজে ঘেরা গ্রামীণ পরিবেশে অনেকেই একদিনের ছুটিতে ঘুরতে চলে যান পূর্বস্থলীর এই চুপি গ্রামে। শীতের মরশুমে গ্রামের বিশাল ‘ছাড়িগঙ্গা’ জলাশয়ের ধারে পরিযায়ী পাখির দল আসে। ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির অন্যতম পছন্দের উইকএন্ড ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছে পূর্বস্থলীর এই চুপি পাখিরালয়। গ্রামের মনোরম পরিবেশ, ছাড়িগঙ্গার পাড়ে নিরিবিলিতে সময় কাটানো, আর সঙ্গে উপরি পাওনা ছাড়িগঙ্গায় নৌকা বিহার।
এবার পূর্বস্থলীয় এই চুপির পাখিরালয় ট্যুরিজ়মকে আরও বৃহৎ আকারে তুলে ধরার পরিকল্পনা চালাচ্ছেন সাংসদ সুনীল মণ্ডল। শুধু শীতকাল নয়, সারা বছর যাতে পর্যটকরা এখানে আসতে পারেন, সেই পরিকল্পনা চলছে। কীভাবে পর্যটকদের জন্য সবরকম সুযোগ-সুবিধার বন্দোবস্ত করা যায়, সেটিও ভেবে দেখা হচ্ছে। সামনেই আরও একটা শীতের মরশুম আসছে। পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়বে বলে আশাবাদী গ্রামবাসীরা। তার আগে সোমবার বিকেলে এই চুপি পাখিরালয় পরিদর্শন করে গেলেন সাংসদ সুনীলকুমার মণ্ডল। সঙ্গে ছিলেন পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি-সহ অন্যরা।
চুপি পাখিরালয় পরিদর্শনে ফাঁকে সাংসদ জানালেন, এই পাখিরালয়কে কেন্দ্র করে যে পর্যটনের বিকাশ হচ্ছে, তা তিনি আরও বৃহৎ আকারে নিয়ে যেতে চান। এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকরা যাতে সবরকম সুযোগ, সুবিধা পান, তা নিশ্চিত করতেই এই পরিদর্শন বলে জানালেন তিনি।