Ram Mandir: কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না বাল্যবিবাহ, হেঁটেই অযোধ্যা চললেন হুগলির মাস্টারমশাই

Manatosh Podder | Edited By: জয়দীপ দাস

Jan 14, 2024 | 9:50 AM

Ram Mandir: সমাজ সচেতনতার লক্ষ্যে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে খানাকুল থেকে শুক্রবার যাত্রা শুরু করেছেন তিনি। শনিবার তিনি পৌঁছে যান বর্ধমানের কার্জন গেটে। সেখানেই টিভি-৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে বললেন নিজের কথা।

Ram Mandir: কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না বাল্যবিবাহ, হেঁটেই অযোধ্যা চললেন হুগলির মাস্টারমশাই
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

বর্ধমান: বহুরূপী সেজে ঘুরে বেড়ান রাস্তায় রাস্তায়, ঘুরেছেন দেশের নানা প্রান্তে। উদ্দেশ্য একটাই বাল্য বিবাহ রোধ থেকে শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনসচেতনা বৃদ্ধি। এবার পায়ে হেঁটে অযোধ্যা চললেন হুগলির খানাকুলের মাছপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস মুখোপাধ্য়ায়। এদিকে হাতে আর মাত্র ক’টা দিন। তারপরই উদ্বোধন হবে অযোধ্যার বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। এরইমধ্যে দেবাশিসবাবুর উদ্যোগ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে হুগলি জেলার শিক্ষা মহলে। 

তাঁর বাড়ি আরামবাগ থানার তিলকচক গ্রামে। খানাকুল থেকে অযোধ্যার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন দেবাশিসবাবু। সমাজ সচেতনতার লক্ষ্যে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে খানাকুল থেকে শুক্রবার  যাত্রা শুরু করেছেন তিনি। শনিবার তিনি পৌঁছে যান বর্ধমানের কার্জন গেটে। সেখানেই টিভি-৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে বললেন নিজের কথা। এদিকে বাল্যবিবাহ, টিনএজ প্রেগনেন্সি নিয়ে সম্প্রতি পূর্ববর্ধমানের একটি পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। তাতেই দেখা যাচ্ছে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত জেলায় ৬৮২২ জন নাবালিকা প্রসূতি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ছবি দেখে চোখ কপালে তুলছেন অনেকে।

দেবাশিসবাবু বলছেন, এটা তো একটা বড় সমস্যা। আমি পায়ে হেঁটেই অযোধ্যা যাব। আমি বহুরূপী সেজে যে বার্তাগুলি গুলি প্রচার করি সেগুলি আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই এটা করছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু মানুষ তো এখন অযোধ্য়ায় আসছেন। সে জন্যই ওই জায়গাটিকে বেছে নিয়েছি। বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে হবে, শিশু নির্যাতন বন্ধ করতে হবে, পরিবেশ বাঁচাতে গাছ বাঁচাতে হবে, বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি কমাতে হবে, এই বার্তগুলিই একজন স্কুল শিক্ষক হিসাবে দিতে চাই। এর আগে পায়ে হেঁটে দিল্লি গিয়েছিলাম। এ ছাড়া আমি বহুরূপী সেজে দিঘা, পুরীতে ঘুরেছি। সরকার থেকে অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিতও করা হয়েছে। 

Next Article