বর্ধমান: ত্রিমুখী লড়াইয়ের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির ১০ নম্বর আসনে। ভাতারের বলগোনায় এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) তরফে টিকিট পাননি বিদায়ী প্রধান শেখ আমজাদ। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের হয়ে ভোটে লড়ছেন তিনি। তৃণমূলের টিকিটে ওই আসনে লড়াই করছেন শেখ শফিউল আলম। অন্যদিকে সিপিআইএমের (CPIM) পক্ষ থেকে লড়ছিলেন শেখ সাদ্দাম ওরফে ইয়াসিন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ২০ জুন। ওই দিন একেবারে শেষ লগ্নে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন বাম যুব নেতা শেখ সাদ্দাম। তা নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা চলছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের দাবি, পঞ্চায়েত সমিতির এই আসনে ত্রিমুখী লড়াইকে শেষ করতে চাইছে বিরোধীরা। লড়াইয়ে দ্বিমুখী মোড় দিতেই বাম-কংগ্রেস জোট বেঁধে জোরপূর্বক বাম প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছে। তৃণমূলকে আটকাতেই এই ‘ছল’ বলে দাবি করছেন এলাকার তৃণমূল নেতারা।
প্রসঙ্গত, মনোনয়ন দাখিলের পরেই জোরকদমে প্রচার শুরু করেন সাদ্দাম। চলছিল দেওয়াল লিখন। পাশাপাশি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরোদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছিলেন। হঠাৎ, শেষ মুহূর্তে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় তা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভাতারে। যদিও এ প্রসঙ্গে বাম নেতা শেখ সাদ্দাম বলছেন, “মনোনয়ন প্রত্য়াহার করতে দল নির্দেশ দিয়েছে। তাই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। আগামীদিনে বাম আন্দোলনের সঙ্গেই থাকব।” অন্যদিকে এ বিষয়ে ভাতার বিধানসভার সিপিআইএমের প্রাক্তন বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল বলছেন, “কিছু আসনে আমাদের সঙ্গে কংগ্রেসের রাজনৈতিক স্বার্থে জোট হয়েছে। ওই আসনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হওয়ায় দলীয় স্তরে আলোচনা হয়েছে। তারপরই সাদ্দাম নিজের ইচ্ছায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছে।”
এ ঘটনায় বাম-কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শান্তনু কোনার। তিনি স্পষ্টই বলছেন, “ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির ১০ নম্বর আসনে ত্রিমুখী লড়াইকে দ্বিমুখী করতেই এই কৌশল নিয়েছে ওরা। জোর করে বাম প্রার্থীকে মনোনয়ন তোলানো হয়েছে। আসলে সিপিআইএমের স্বভাব তো এটাই। প্রয়োজন পড়লে নিজেদের দলের কর্মীদের গলা টিপতেও ওরা পিছপা হয় না।”