পূর্ব বর্ধমান: বাড়ির দুই বউ ভোটের ময়দানে। একজন মেজো, অন্যজন ছোট। একজনের প্রতীক হাত, অন্য়জনের ঘাসফুল। ভাতারের (Bhatar) আমরুনে এখন রায় বাড়ির দুই বউকে নিয়ে জোর আলোচনা। ভাতার ব্লকের আমরুন-২ গ্রামপঞ্চায়েত। সেখানকারই ছাতনি গ্রামের ২১৮ নম্বর আসনের ২ নম্বর সংসদে যেন ‘ঘরোয়া লড়াই’ লেগে গিয়েছে। কারণ এখান থেকেই কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন বর্ণালী রায়। যিনি রায় বাড়ির মেজো বউ। আর তৃণমূলের প্রতীকে লড়ছেন মণিমালা রায়, বাড়ির ছোট বউমা।
ছাতনির রায় বাড়িতে দীর্ঘদিনের রাজনীতির চর্চা। মূলত কংগ্রেস ঘরানাই এ বাড়ির। ১৯৭৮ সাল থেকে কংগ্রেসি রাজনীতি রায় বাড়ির অলিন্দে ঘোরাফেরা করেছে। পরে যদিও সেখানে ঘাসফুলের প্রবেশ হয়। তৃণমূলের সমর্থক বাড়ির ছেলে, বউরা। ভোটেও লড়েছেন। এবার যে বর্ণালী কংগ্রেসে লড়ছেন, তিনি এর আগে তৃণমূলের সঙ্গেই ছিলেন। ভোটেও লড়েন।
বর্ণালী রায় আমরুন-২ গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ছিলেন। এ বছরও টিকিট পাবেন ভেবেছিলেন। তবে শেষবেলায় তাঁরই দেওরের বউয়ের নাম তালিকায় আসে। প্রতীক না পেয়ে যোগ দেন কংগ্রেসে। তারা টিকিটও দিয়েছে। মণিমালা পেয়েছেন তৃণমূলের প্রতীক। দু’জনই বলছেন, জয় নিয়ে ১০০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসী তাঁরা। টিকিট নিয়ে দলীয় জটিলতা তৈরি হলেও দুই জায়ের সম্পর্কে তা জটিলতা তৈরি করবে না বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।
বর্ণালী রায় বলেন, “এটা রাজনীতির লড়াই। জিতে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আগেও তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছি। কিন্তু মাঝে পঞ্চায়েতের কাজ করতে পারিনি। এখন আবার কাজ করছিলাম। দল আমাকে সুযোগ দিল না। তাই কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছি।” তৃণমূলের মণিমালাও বলেন, প্রতীক আলাদা ভোটের ময়দানে। পরিবারে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।