কাটোয়া: সন্তান ভর্তি। তাই তার সঙ্গে ওয়ার্ডেই ছিলেন মা। আর অন্যদিকে ভর্তি এক বয়স্ক ব্যক্তি, যাঁর জামাই তাঁকে ভর্তি করিয়েছিলেন। অপর বেডে ভর্তি থাকা শ্বশুরকে দেখতে এসে নিজের প্যান্টের চেন খুলে শিশুর মাকে দেখিয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আর জি কর কাণ্ডে যখন তোলপাড় বাংলা, তখন এহেন অভিযোগ উঠল কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে।
জানা যাচ্ছে, মহিলা চিৎকার চেঁচামেচি হতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা হাসপাতাল চত্বরে। অভিযুক্তকে মারধর করে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির বাড়ি কাটোয়া থানার মুলটি গ্রামে।
আর জি কর কাণ্ডের পর চিকিৎসকরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সে কথা সামনে এসে বলছেন চিকিৎসক পড়ুয়ারাই। রোগীর আত্মীয় পরিজনরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। গোটা ঘটনায় কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাটোয়া থানার পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
তবে হাসপাতালে রোগীর পরিজনদের বক্তব্য, “হাসপাতালে প্রচুর লোকের সমাগম। কে কেমন, তা বোঝা কঠিন। কিন্তু হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও ঠিক করতে হবে।”
অভিযোগকারিনীর বক্তব্য, “আমার সন্তানের বমি পায়খানা হচ্ছিল, আমার মেয়েকে ভর্তি করে নেওয়া হয়। আমাকেও ফিমেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে রাখা হয়। উল্টোদিকে মেইল সার্জিক্যাল ওয়ার্ড। আমার মেয়েকে ইঞ্জেকশন দিলে ও ঘুমিয়ে পড়ে। আমি জেগে থাকি। সেখানে এক রোগীর আত্মীয় প্যান্টের চেইন খুলে আমাকে নোংরা ইঙ্গিত করতে থাকেন।”
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)