মেমারি: পূর্ব বর্ধমানের মেমারি (Memari) থেকে গ্রেফতার বিজেপির (BJP Leader Arrested) রাজ্য কমিটির সদস্য। বুধবার রাতে মেমারি থানার (Memari Police Station) পুলিশ গ্রেফতার করে সন্তোষ রায় নামে ওই বিজেপি নেতাকে। ২০ বছরের পুরনো একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর। চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল সন্তোষ রায় সহ স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিল চুরির অভিযোগ পাকড়াও শ্রীবাস মধু নামে ওই ব্যক্তি। মারধরের ঘটনার কয়েকদিন পরেই মারা যায় শ্রীবাস। পরে তাঁর এক আত্মীয় রবীন বিশ্বাস মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু সেই অভিযোগের পর এতদিন কেটে গেলেও পুলিশ সন্তোষ রায়কে গ্রেফতার করেনি। অবশেষে গতরাতে তাঁকে গ্রেফতার করে মেমারি থানার পুলিশ। অনিচ্ছাকৃত খুন ও মারধরের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে সন্তোষ রায়ের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, জেলার রাজনৈতিক মহলে সন্তোষ রায় এক পরিচিত নাম। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন তিনি। বর্তমানে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্যও তিনি। এহেন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের গ্রেফতারি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনীতির অন্দরমহলে। জানা যাচ্ছে, গ্রেফতার বিজেপি নেতা সন্তোষ রায়ের বাবার নাম সুশীল রায়ের। কিন্তু সূত্রের খবর, থানায় যে সন্তোষ রায়ের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, সেখানে সন্তোষের বাবার নাম সুনীল রায় বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
ধৃত বিজেপি নেতার বক্তব্য, ওই ঘটনার পর বেশ কয়েকবার তাঁদের বাড়িতে পুলিশ গিয়েছিল খোঁজখবর নিতে। কিন্তু সুনীল রায়ের ছেলে সন্তোষ রায়কে পুলিশ এলাকায় খুঁজে পায়নি। বিজেপি নেতা আরও জানান, এসবের সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই জড়িত নন।
যদিও এই গ্রেফতারির ঘটনায় বিজেপির বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিৎ তা’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, ‘এটি আদালতে বিচারাধীন বিষয়। তাই এই নিয়ে খুব বেশি বলা ঠিক হবে না।’ তবে বিজেপি নেতার আশঙ্কা, ২০ বছরের পুরনো এই মামলায় শাসকদলের চাপে পড়ে হয়ত পুলিশ সন্তোষ রায়ের বাবার নাম পরিবর্তন করে নতুন করে মামলা সাজিয়েছে।
শাসক শিবিরের থেকে পুলিশের উপর চাপের অভিযোগ যদিও উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস। তাঁর বক্তব্য, আইন আইনের পথে চলবে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ যদি আদালতে প্রমাণিত হয়, তাহলে শাস্তি নিশ্চয়ই হবে। নাহলে তিনি রেহাই পাবেন। তৃণমূল কখনও পুলিশ বা প্রশাসনকে পরিচালনা করে না।’