Burdwan Hooching Case: মদে বিষ ছিল এমন প্রমাণ এখনও মেলেনি, দাবি আবগারি আধিকারিকের… তা হলে মৃত্যু কীভাবে?

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 10, 2022 | 6:50 PM

Burdwan: ইতিমধ্যেই পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে খুন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।

Burdwan Hooching Case: মদে বিষ ছিল এমন প্রমাণ এখনও মেলেনি, দাবি আবগারি আধিকারিকের... তা হলে মৃত্যু কীভাবে?
জেলা আবগারি দফতরের পুলিশসুপার এনায়েত রাব্বি।

Follow Us

পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমানে মদে বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘিরে ধন্দ কিছুতেই কাটছে না। বেসরকারি ল্যাবরেটরির পর এবার সরকারি ল্যাবের রিপোর্টেও অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি বলেই খবর। পূর্ব বর্ধমান জেলার আবগারি সুপার এনায়েত রাব্বি জানান, প্রাথমিক রিপোর্টে কোনও অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি। অথচ এখনও অবধি আটজনের মৃত্যুর খবর রয়েছে। তা হলে কীভাবে পর পর এই মৃত্যু, তা নিয়ে প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে। পুলিশ সূত্রে খবর, মদের কারণে এই মৃত্যু নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা যেমন দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে মৃত্যুর কারণ জানতে ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবটিতে (FSL) নমুনা পাঠানো হচ্ছে বলেও সূত্রের খবর।

ইতিমধ্যেই পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে খুন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। পাশাপাশি তদন্তকারীরা মদের নমুনা মেঝে ও দেওয়াল থেকে সংগ্রহ করেছে এফএসএলে পাঠাচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এবার জেলা পুলিশের তরফে খাদ্য সুরক্ষা দফতরেরও সাহায্য নেওয়া হবে।

জেলা আবগারি দফতরের পুলিশ সুপার এনায়েত রাব্বি জানিয়েছেন, নমুনা সংগ্রহের পরে সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবের যে প্রাথমিক রির্পোট পাওয়া গিয়েছে, তাতে অসঙ্গতি মেলেনি। অন্যদিকে আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে মদ নিয়ে অভিযোগ এসেছে, সেই ব্যাচের মদ আপাতত বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। এই ব্যাচের মদ দক্ষিণবঙ্গের আরও কয়েকটি জেলায় গিয়েছে বলেও খবর। সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেখানেও বন্ধ থাকবে এই মদ বিক্রি। অন্যদিকে শুক্রবার ও শনিবারের পর রবিবারও বর্ধমান শহরের সমস্ত মদের দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে।

আবগারি আধিকারিক এনায়েত রাব্বি বলেন, “মদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে এরকম নিশ্চিত করে বলার মতো কোনও তথ্যপ্রমাণ এখনও অবধি আমাদের কাছে নেই। আগেও সেটা বলেছি। যতক্ষণ না সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট আমাদের কাছে আসছে, এটা বলতে পারব না। তবে এটুকু খবর পেয়েছি, আরও দু’জন বোধহয় অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছেন। তাঁরা আদৌ মদ খেয়ে মারা গিয়েছেন কি না সেটা এখনই আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব না। দু’টো ল্যাবরেটরি থেকেই এখনও অসঙ্গতিপূর্ণ কোনও রিপোর্ট আমরা পাইনি। সরকারি ল্যাব থেকে এখনও অফিশিয়াল রিপোর্ট পাইনি। তবে প্রাথমিকভাবে যা জানতে পেরেছি, তাতে অসঙ্গতি আছে এমন কোনও তথ্যও নেই।”

Next Article