পূর্ব বর্ধমান: ভুষি উড়াচ্ছিলেন তিনি। পিছনে চলছিল ফ্যান। আচমকাই তাতে চাদর জড়িয়ে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাথা ঢুকে যায় সেই ফ্যানের ভিতর। চুল উপড়ে মাথা কেটে ধড় থেকে আলাদা হয়ে যায় প্রৌঢ়ার। ভয়ঙ্কর ঘটনা বর্ধমানের মন্তেশ্বরের দেওয়ানগদী গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম কামরুন্নেসা মল্লিক। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বোরো ধানের চাষ করেছিলেন কামরুন। ধান কাটার সময়ে ভুসি ওড়াতে পাওয়ার টিলারে ফ্যান লাগিয়েছিলেন তিনি। আর তাতেই দুর্ঘটনা। কামরুন্নেসা মল্লিক জড়ো হওয়া ধান সরাতে গিয়ে গায়ের চাদর পাওয়ার টিলারের ফ্যানে জড়িয়ে যায়। তৎক্ষণাৎ ফ্যানে কেটে মাথা। সেটি এমন ভাবে হয়,যে গোটা মাথা ধড় থেকে আলাদা হয়ে যায়।
ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান প্রত্যক্ষদর্শীরা। হাহাকার পড়ে যায় বাড়িতে। খবর দেওয়া হয় মন্তেশ্বর থানায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ দেহ থানায় নিয়ে যায়। এই ঘটনায় মন্তেশ্বরের দেওয়ানগদী গ্রাম-সহ এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এরকম ভয়ঙ্কর মৃত্যু যাঁরা চোখের সামনে দেখেছেন, তাঁরা রীতিমতো স্তব্ধ।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এরকম ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা আগে শুনেনি আমরা কেউ। মৃত্যুটা বড়ই ভয়ঙ্কর। গোটা গ্রামে সাড়া পড়ে গিয়েছে। অনেকে দেখতেও এসেছিলেন। কিন্তু শুনেই গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে। এসব চোখে দেখা যায় না।”
আরেক গ্রামবাসী বলেন, “ভোরের দিকে একটা শিরশিরে ভাব রয়েছে, তাই অনেকেই গায়ে চাদর জড়াচ্ছেন। আমরা সকালের দিকে একটা ভয়ঙ্কর চিৎকার শুনতে পাই। এসে দেখি এই অবস্থা। সে দৃশ্য চোখে দেখা যায় না। ধড় থেকে মুণ্ড পুরো আলাদা। কিছুটা দূরে ছিটকে পড়ে ছিল মাথা। আমরা তো শিউরে উঠেছিলাম। ” পুলিশ দেহাংশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।