Gujarat Bridge Collapse: গুজরাটে সেতু বিপর্যয়ে প্রাণ গেল বাংলার হাবিবুলের, ওখানে কেন গিয়েছিলেন জানালেন মা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 31, 2022 | 1:02 PM

Gujarat: পূর্ব বর্ধমানের হাবিবুর রহমান।অভাবী পরিবারে রোজগারের আশায় পড়াশোনা ছেড়ে গুজরাট পাড়ি দিয়েছিলেন কাকার কাছে।

Gujarat Bridge Collapse: গুজরাটে সেতু বিপর্যয়ে প্রাণ গেল বাংলার হাবিবুলের, ওখানে কেন গিয়েছিলেন জানালেন মা
হাবিবুল রহমান

Follow Us

পূর্বস্থলি: অভাবী সংসারে বেড়ে ওঠা, স্কুল ছেড়েছিল একাদশ শ্রেণিতেই। পেট চালাতে পাড়ি দিয়েছিল পশ্চিমের রাজ্য গুজরাটে। তবে ফেরত এল নিথর দেহ। গুজরাটে সেতু বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিনিও। বাবা-মাকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন

পূর্ব বর্ধমানের হাবিবুর রহমান।অভাবী পরিবারে রোজগারের আশায় পড়াশোনা ছেড়ে গুজরাট পাড়ি দিয়েছিলেন কাকার কাছে। গিয়েছিলেন সোনার কাজ শিখতে। রবিবার সেতুটি যখন ভেঙে পড়ে সেই সময় সেতুর উপর ছিলেন হাবিবুল। এরপর সেতুটি ভেঙে যাওযায় এমন অঘটন।

পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল রাত্রিবেলা ছেলের মৃত্যুর খবর পান পরিবারের সদস্যরা। কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ছেলে আর নেই!অঝোরে কেঁদে চলছেন তখনও হাবিবুলের মা। তিনি বললেন,’ রাত্রি একটার সময় খবর পাই। শাশুড়ি ফোন করেছিল। সবটা বলল। শেষবার মঙ্গলবার ছেলের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সেই সময় জিজ্ঞাসা করেছিল মা ভাল আছো? তারপর অনেক কথা হল। এরপর কালকে রাতে এমন ঘটনা শুনলাম। আমার ভাগ্য। কপাল খারাপ। ছেলেটাকে হারালাম।’ মৃতের বাবা জানান, ‘রাত্র তখন ১টা। সেই সময় আমার ভাই ফোন করেছিল। ও জানাল ব্রিজ দুর্ঘটনায় আমার ছেলে মারা গিয়েছে। গরিব মানুষ। তাই বেশিদূর পড়াশোনা করাতে পারলাম না।’ এলাকার বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘অভাবের সংসার। ছেলেটা স্কুলে ভর্তি হয়েছিল। তবে পড়তে পারেনি বেশিদূর। এখন আর্থিক অনটনের জন্য ওইখানে গিয়েছিল। ওদের রবিবার দিন ছুটি। সেই কারণে ছুটির দিনে বেড়াতে বেরিয়েছিল প্রত্যেকে। ওই ব্রিজটা নাকি দোলে। গুজরাট সরকার চারদিন আগেও ফিট সার্টিফিকেট দিয়েছিল। কী সার্টিফিকেট দিল জানি না। ব্রিজ ভেঙে দেখছি এখনও অবধি ১৪১ জন মারা গিয়েছে। এও ছিল। আর কী বলব!’

বস্তুত, রবিবরা সন্ধেবেলা গুজরাটের মোরবি জেলায় (Morbi District) মাচ্ছু নদীর উপর একটি কেবল ব্রিজ ভেঙে পড়ে। প্রায় শতাধিক মানুষ সেখানে আটকে পড়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন, রাজ্য় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী, দমকল বিভাগ উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। রাতভর সেই তল্লাশি অভিযান চলেছে। বর্তমানে এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০-র বেশি।

 

 

 

 

 

Next Article