পূর্ব বর্ধমান: গৃহবধূর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। গৃহবধূর নাম মুঙ্গলি মাড্ডি(৩৩)। সোমবার সকালে ভাতার থানার রাজিপুর গ্রামের মুঙ্গলির ঘর থেকেই মৃতদেহ উদ্ধার করে ভাতার থানার পুলিশ।
এলাকাবাসীর দাবি, স্বামী সুরেশের সঙ্গে প্রায় দিনই অশান্তি হত মুঙ্গলির। মদ খাওয়াকে কেন্দ্র করেই তাঁদের ঝামেলা। অভিযোগ রবিবার রাতেও সেই নিয়ে ঝামেলা হয়। অভিযোগ, ঝগড়া চলাকালীনই স্বামী সুরেশ বাঁশ ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। যতক্ষণে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তাঁর মৃত্যু হয়। গ্রামবাসীরা সুরেশকে ধরে রেখে ভাতার থানায় পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে সুরেশ মাড্ডিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ঝাড়খণ্ডের দুমকা থেকে তিন দিন আগে স্বামী-স্ত্রী এসেছিলেন এই গ্রামে ধান জমিতে কাজ করতে। গ্রামেরই বাসিন্দা মহম্মদ ইউসুফ শেখের বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। তাঁর বাড়ির পাশেই কুঁড়ে ঘরে এক সন্তানকে নিয়ে থাকতেন স্বামী-স্ত্রী । মোহম্মদ ইউসুফ শেখ জানিয়েছেন গত বছরও তাঁরা এসেছিলেন কাজে, তারপর ফিরে যান। এ বছর তিনি আসতে না বললেও তাঁরা নিজে থেকেই চলে আসেন। প্রায় দিনই তাঁরা মদ্যপ অবস্থায় নিজেদের মধ্যে অশান্তি করতেন। তাঁর কথায়, “সোমবার সকালে আমি মাঠে গেলে এলাকাবাসীরা আমাকে খবর দেয় যে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমি মাঠ থেকে এসে দেখি সুরেশ মাড্ডির স্ত্রী মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করছে।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভাতার থানার পুলিশ।