মাধবডিহি: কখনও মাড়িয়ে ফসল নষ্ট করেছে। কখনও আবার লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। যার জেরে রীতিমত শঙ্কিত হতে হয়েছে গ্রামবাসীদের। বিগত কয়েকদিনু ধরেই দাঁতালের দাপটে নাজেহাল জনগণ। অবশেষে তাকে বাগে আনল বনকর্মীরা।
হুগলির আরামবাগে শনিবার দিনভর দাপিয়ে বেড়ানোর পর রবিবার ভোরে ঢুকে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহির উচালনে। হাতিটির পিছু ধাওয়া করে হুগলি ও বর্ধমান আউসগ্রামের হোল্লা পার্টি। সকালে উচালন এলাকায় দাপিয়ে বেড়ানোর পর শেষে দাঁতালটি উচালনের বুলচন্দ্রপুর দাসপাড়া এলাকায় দু’টি ঘুম পাড়ানো গুলি করে। তারপর তাকে বাগে আনে বনকর্মীরা। মাঠে আলু ও সর্ষে আছে। তাই কৃষকরা শঙ্কিত।
বনসহায়ক সুমন ব্যানার্জী বলেন, “শনিবার হাতিটি আরামবাগ পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কালিপুরে ছিল।তারপর হল্লাপার্টির তাড়া খেয়ে হাতিটি গোঘাট হয়ে ঢোকে উচালনে।” অন্যদিকে জেলা বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী বলেন, “আমরা হতিটি প্রথমে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু উচালনে ঢুকে পড়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে ২ রাউণ্ড ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে তাকে বন্দি করা হয়েছে। কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে সেই নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। উত্তরবঙ্গেও নিয়ে যাওয়া হতে পাতে দলছুট দাঁতালটিকে।”
প্রসঙ্গত, গতকাল হাতির তাণ্ডবে উত্তেজিত আরামবাগ ও সংলগ্ন এলাকায়। সকাল থেকে দাপিয়ে বেড়িয়েছে বুনো হাতি। আর তার জেরেই আরামবাগ সংলগ্ন গোঘাটে কার্ফু জারি (Curfew Imposed in Goghat) করে প্রশাসন। আজ (রবিবার) বিকেল ৪টে পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে এলাকায়। পঞ্চায়েতের তরফে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে, যাতে তাঁরা প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোন। ইতিমধ্য়েই গোঘাটের কুমুড়শা গ্রামে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে এক ব্যক্তি গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গতকাল সকাল থেকেই আরামবাগ ও সংলগ্ন এলাকায় তাণ্ডব চালায় বুনো হাতি। প্রথমে দলছুট দুটি হাতি আরামবাগের কালিপুর এলাকায় ঢুকে পড়ে। বেশ কিছুক্ষণ দাপাদাপি চালায় সেখানে। সেখানে আলু চাষের জমি ও সবজির বাগানে দাপিয়ে বেড়ায় হাতি।