বর্ধমান: শাসকদলের বিধায়কের ‘হুমকি’তে ঘরছাড়া এক ব্যবসায়ী। বর্ধমান শহরের পুলিশ লাইন বাজার এলাকার ঘটনা। কাঠগড়ায় বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে আর্থিক বিবাদ নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে বিবাদ মেটানোর নামে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিধায়ক খোকন দাসের বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ী বিধান কুণ্ডু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি করেছেন বলে দাবি করেছেন। কিন্তু কোন সুরাহা মেলেনি বলে দাবি ব্যবসায়ীর। শেষমেশ আইনের আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
লোহার ছাঁট ব্যবসায়ী বিধানচন্দ্র কুণ্ডু জানান, কাটোয়ার দুই ব্যবসায়ী মিঠুন শেখ ও তুফান শেখের কাছ থেকে তিনি লোহার ছাঁট কিনতেন। পরবর্তীকালে সেই লোহার ছাঁটের মান খারাপ হওয়ায়, তিনি ওই দু’জনের সঙ্গে আর ব্যবসা না করার সিদ্ধান্ত নেন। আর তারপর থেকেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। ব্যবসায়ীর বিধানের দাবি করেন , মিঠুন ও তুফানকে পাওনা ৫ লক্ষ টাকা দিতে গেলে তাঁরা ওই টাকা না নিয়ে চলে যান। এরপর কাটোয়ার দুই ব্যবসায়ী মিঠুন ও তুফান কাটোয়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান লখিন্দর মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় বর্ধমান পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নাড়ুগোপাল ভকতের অফিসে। অভিযোগ সেখানেই হুমকি দেন বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক।
বিধানচন্দ্র কুণ্ডুর দাবি, “অফিসে আমার সঙ্গে আমার বাবাও গিয়েছিলেন। বিধায়ক দাবি করেন ২২ লক্ষ টাকা দিতে হবে। ওঁ লখিন্দরের বন্ধু। ওঁকে টাকা দিতেই হবে।”
এই বিষয়ে বিধায়ক খোকন দাস ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে অস্বীকার করেন। কেবল বলেছেন, “চোর চিটিংবাজদের নিয়ে আমি কিছু বলবো না। ওঁ আইনের পথে গেছে। আমিও আইনের পথে যাব। আমার আইনজীবী কিছু বলতে মানা করেছেন।”
পাশাপাশি বিধান কুণ্ডু দাবি করেন, তাঁকে কার্যত একঘরে করে দেওয়া হয়েছে। বিধায়কের অনুগামীরা তাঁর আবাসনের বাসিন্দাদের কথা বলতে মানা করেছেন । ব্যবসায়ীর ছেলের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। পুলিশ লাইন বাজারে সবজি থেকে মুদি দোকানে, তাঁকে জিনিস বিক্রি করতে বারণ করা হয়েছে বলে বিধান কুণ্ডুর দাবি। এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, “পুলিশের কাছে ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন। সুতরাং পুলিশ আইন অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নেবে।