পূর্ব বর্ধমান: কয়লার কারবারি রাজু ঝায়ের খুনের ঘটনায় রাজন কুমারকে হেফাজতে নিল পুলিশ। বিহারের কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসাবেই পরিচিতি রাজনের। বহু টালবাহানার পর তাঁকে বিহারের হাজিপুর জেল থেকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই টিআই প্যারেডের আবেদন জানানো হয়েছিল তদন্তকারী অফিসারের তরফে। সেই সংক্রান্ত অনুমতি পাওয়ার পর বর্ধমানের দ্বিতীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সংশোধনাগারে টিআই প্যারেড হয়।
টিআই প্যারেডে এক প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন, যিনি রাজনকে শনাক্ত করেন বলেই খবর। এরপরই রাজনকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন করা হয় পুলিশের তরফে। সোমবার সংশোধনাগার থেকে আদালতে তোলা হয় তাঁকে। তদন্তকারী অফিসারের বক্তব্য, যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে রাজুকে খুন করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় যারা জড়িত, তার নাগাল পেতে রাজনকে হেফাজতে নেওয়া দরকার। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে।
গত বছর ১ এপ্রিল গুলি বর্ধমানের শক্তিগড়ে গুলি করে খুন করা হয় রাজু ঝা-কে। সেখানকার ল্যাংচা হাবের একেবারে সামনে রাজুকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে, একেবারে সামনে থেকে রাজুকে গুলি করে আততায়ী। গঠন করা হয় সিআইটি (SIT)। তদন্তে নেমে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাঁদের নামে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। অন্যদিকে নদিয়ার রানাঘাটে একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার তদন্তে নেমে বিহারের বৈশালি জেলার বিদুপুরের রাজন কুমারের নাম উঠে আসে। এরপরই রাজু-খুনে তাঁর যোগ জানতে পারে তদন্তকারীরা।