গাংপুর : কখনও অনুমতি ছাড়া ট্রেনে বিক্রিবাটার অভিযোগ, আবার কখনও যাত্রীদের সঙ্গে অভ্যতা, নানা অভিযোগ প্রায়শই হকারদের পাকড়াও (Rail hawkers) করে রেল পুলিশ (Rail Police)। এ ঘটনা প্রায়শই দেখা যায় রাজ্যের নানা প্রান্তে। তবে হকারদের অভিযোগও কম নয়। প্রায়শই রেল পুলিশের বিরুদ্ধে জুলুমবাজির অভিযোগে সরব হতে দেখা যায় তাঁদেরও। এবার যেন একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া গেল বর্ধমান-হাওড়া (Howrah-Bardhaman) রুটের গাংপুর স্টেশনে। আরপিএফের (RPF) অত্যাচারের প্রতিবাদে রেল অবরোধে সামিল হল হকাররা। শনিবার গাংপুর স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ চলে অবরোধ। যার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় স্টেশন চত্বরে।
বিক্ষুব্ধ হকারদের অভিযোগ তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে, মিথ্যা কেস দেওয়া হচ্ছে। কোনও কারণ ছাড়াই এই কাজ করছে রেল পুলিশ। এই অভিযোগ তুলেই গাংপুর স্টেশনে রেল অবরোধ হকারদের। যার জেরে বর্ধমান হাওড়া মেন ও কর্ড লাইনে দীর্ঘক্ষণ ব্যাহত হল ট্রেন চলাচল। সূত্রের খবর, এদিন জাতীয় বাংলা সম্মেলনের পক্ষ ডাক দেওয়া হয় অবরোধ কর্মসূচির।অবরোধের জেরে আটকে পড়ে বহু দূরপাল্লার ট্রেন। স্টেশনে স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায় একাধিক এক্সপ্রেস। আটকে যায় লোকাল ট্রেনও। আটকে পড়ে আপ রাজধানী এক্সপ্রেসও। বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে শুরু হয় অবরোধ। অবশেষে প্রায় ঘন্টাখানেক অবরোধের পর রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ওঠে অবরোধ।
জাতীয় বাংলা সম্মেলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাজিম হোসেন মল্লিক বলেন, “আরপিএফ প্রতিদিন জুলুমবাজি করে। হকারদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে। শুধু তাই নয় তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও দেয়। এমনকী রোজই প্রায় হকারদের নানা কারণে তুলে নিয়ে গিয়ে ১৪০০, ১৫০০ টাকা করে জরিমানা করে। গত ৫ দিনে শক্তিগড় স্টেশনে অনেক হকারকে নামিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে অকারণে কেস দেওয়া হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে আমারা রেল অবরোধ করেছি। আমেদর স্পষ্ট দাবি, সম্মানের সঙ্গে হকারদের কাজ করতে দিতে হবে। একইসঙ্গে ২০১৪ সালের হকার ভেন্ডিং আইনে হকারদের সামিল করতে হবে।”