AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Teachers’ Day: ‘মিড ডে মিলের চাল চুরি করব আর বলব আমি শিক্ষক’, TMC পৌরপ্রধানের মন্তব্যে বিতর্ক

TMC Chairman On Teachers' Day: শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে  বর্ধমান পৌরসভার পৌরপ্রধান পরেশ চন্দ্র সরকারের মন্তব্যে শোরগোল। তাঁর এই মন্তব্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেক শিক্ষক ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

Teachers' Day: 'মিড ডে মিলের চাল চুরি করব আর বলব আমি শিক্ষক', TMC পৌরপ্রধানের মন্তব্যে বিতর্ক
তৃণমূল পৌরপ্রধানImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2025 | 10:12 PM
Share

বর্ধমান: “মিড ডে মিলের চাল চুরি করব আবার রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলব, আমি শিক্ষক, জাতি গড়েছি—এটি একসঙ্গে হয় না।” শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে  বর্ধমান পৌরসভার পৌরপ্রধান পরেশ চন্দ্র সরকারের মন্তব্যে শোরগোল। তাঁর এই মন্তব্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেক শিক্ষক ক্ষুব্ধ হয়েছেন। বর্ধমানে সংস্কৃতি লোক মঞ্চে শুক্রবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের উদ্যোগে।

অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়েই পৌরপ্রধান বলেন, “আমাদের শিক্ষকের এই পেশাটা অনেক বাধ্যবাধকতা আছে, বিভিন্ন পেশার মানুষ আছে। শিক্ষকদের অনেক কিছু দেখে শুনে বুঝে শুনে চলতে হয়। এখন তো আমি পৌরসভার চেয়ারম্যান আছি। একদিন সব প্রাইমারি স্কুলগুলোকে ডেকেছিলাম মিড ডে মিল কেমন চলছে চতুর্দিকে তো অভিযোগ আছে তাই ডেকেছিলাম।” তাঁর সংযোজন, “মিড ডে মিলে শিশুদের খাদ্যের যে টাকা একজন মাস্টারমশাই বাচ্চাদের কোথায় কী অ্যাডজাস্ট করছেন বা কী না করছেন আমার সেটা প্রশ্ন নয়। নিজেরা বিবাদ করছেন আমাদের কর্মচারীদের সামনে এবং পরে তিনি স্বীকার করছেন আমি বেশি নিয়নি, কিছু নিয়েছি। আমার মনে হয় শিক্ষকদের কিন্তু অনেক কিছু থেকে মুক্ত থাকতে হয় দূরে থাকতে হয়।”

তারপরই তিনি বলেন, “মিড ডে মিলের চাল চুরি করব আবার আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলব আমি শিক্ষক জাতি গড়েছি এটা একসঙ্গে হয়।” এখানেই শেষ নয়, নিজের বক্তব্যের সমর্থনে তিনি বলেন, “আমি কিন্তু সবাইকে বলেনি, যিনি করেছেন, তাঁকে বলেছি, আর চোরকে চোর বলতে আমার এক সেকেণ্ড দ্বিধা লাগে না। আপনারা প্রত্যেকে সম্মানিত মানুষ।”

এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, “যে শিক্ষক সমাজ গড়ার কারিগর তিনি যদি চাল চুরি করে বা মিড ডে মিলের বরাদ্দ চাল যদি বাজারে বিক্রি করে দেন, আবার রাস্তায় বলেন আমি শিক্ষক, মেনে নেওয়া যায় না। আমিও ওনার কথায় একমত।”

এই ঘটনার পর বর্ধমানের শিক্ষামহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ পৌরপ্রধানের সততাকে সাধুবাদ জানালেও, অনেকেই তার মন্তব্যের ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।