পূর্ব বর্ধমান: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ভরিয়েছে শাসকদলের ভোটের ভাঁড়ার। এবার বাড়ছে সংসারও। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প রয়েছে তৃণমূল সরকারের। তার টানেই লোক বাড়ল তৃণমূলের ঘরে। রবিবার পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের পাণ্ডুক হাটতলায় তৃণমূলে পতাকা তুলে নেন বিজেপির দুই পঞ্চায়েত সদস্য-সহ কয়েকশো মানুষ। বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে এলেন তৃণমূলের মঞ্চে। এরপর সেই পতাকা রেখে হাতে তুলে নিলেন তৃণমূলের পতাকা। যদিও বিজেপির এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
আউশগ্রামের রামনগর পঞ্চায়েতের বিজেপির দুই পঞ্চায়েত সদস্য-সহ কয়েকশো বিজেপি সমর্থক এদিন তৃণমূলে যোগ দেন বলে তৃণমূলের দাবি। পাণ্ডুক হাটতলায় রবিবার সন্ধ্যায় নতুন সদস্যদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন আউশগ্রাম-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শেখ আব্দুল লালন।
পঞ্চায়েত সদস্য সুজাতা বাগদি বলেন, “বিজেপিতে থেকে কোনও কাজই তো করতে পারি না। মানুষের জন্য কাজ করব বলে তৃণমূলে এলাম। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিতে পারব মানুষকে। রূপশ্রী, কন্যাশ্রী দিতে পারব। মানুষের জন্যই তো রাজনীতি করি। তাঁরা জেতান ভোটে, তাঁদের জন্যই তো কাজ করতে চাই।”
আরেক যোগদানকারী কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “২০১৮ সাল থেকে বিজেপি করতাম। অনেক বড় বড় পদেও থেকেছি। কিন্তু পদে থেকে মানুষের কাজই না করতে পারলে, পদে থেকে লাভ কী? ২০২১ সালের নির্বাচনে দেখেছি, ২০২৪ সালেও দেখেছি মানুষ বলছেন তাঁদের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। তাই আমরাও তৃণমূলে এলাম। বড় বড় ভাষণ দিলেই হয় না। মানুষের কাজ তো করতে হবে। আজ দিদি বলছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা। কালই ১০০০ টাকা হয়ে যাচ্ছে। এত প্রকল্প ওনার নেতৃত্বে চলছে। তাতে তো মানুষ উপকার পাচ্ছেন। তাহলে মানুষের জন্য যারা কাজ করছেন তাদের সঙ্গেই তো থাকা উচিত।”
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শেখ আব্দুল লালন বলেন, “দীর্ঘদিন এই বুথে বিজেপি জিতেছে। কিন্তু ওনারা দেখেছেন, ভোটের আগে নেতারা এসে বলেন গরিবের জন্য করবেন। এরপরই ১০০ দিনের টাকা, আবাসের টাকা সব বন্ধ করে দেন। অথচ দিদির সরকার মানুষের পাশে। লোকসভার ফলাফল তো বুঝিয়ে দিল মানুষ কী চান। তাই বিজেপির এখানকার সদস্যরাও চলে আসছেন দিদির সঙ্গে।”