ভাতার: দুর্গাপুজোর অনুদান নিলে পুজো মণ্ডপে লাগাতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। এমনই নিদান নিয়ে বিতর্কে জড়ালেন ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। এমনকী এও জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙানোয় আপত্তি থাকলে পুজোর অনুদান নেবেন না।
পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানায় মঞ্চ বেঁধে পুজো কমিটিগুলিকে পুজোর অনুদান দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েই চড়া সুরে বিধায়ক তাঁর নিদান দেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী পুজোর জন্য যে টাকা দিচ্ছে তাঁর জন্য তার ছবি যেন প্রতিটি প্যাণ্ডেলে টাঙানো থাকে। এটা কিন্তু মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে টাকাটা নিচ্ছেন আপনারা। এটা সরকারের টাকা। মুখ্যমন্ত্রী সরকারের লোক। কিন্তু অনেকে টাকাটা নিচ্ছেন,অথচ মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙাচ্ছেন না। এটা খুব বাজে জিনিস। না হলে আপনারা টাকাটা নেবেন না। আপনাদের যদি মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙাতে অসুবিধা হয় তাহলে আপনারা টাকা নেবেন না। ছবি টাঙাতে অসুবিধা হলে তাদের টাকাটা না নেওয়াটাই ভাল। এটা আমার অনুরোধ আপনাদের কাছে। অনেক ক্লাব তো টাকা নিচ্ছে না। আপনারাও নেবেন না।”
বিধায়ক যখন এরকম হুঁশিয়ার দিচ্ছেন পুজো কমিটিগুলির উদ্দেশ্যে মঞ্চে তখন উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ভাতারের বিডিও দেবজিৎ দত্ত, ডিএসপি (ক্রাইম) সুরজিৎ মণ্ডল, সার্কেল ইনস্পেক্টর (এ) শৈলেন উপাধ্যায় ও ভাতার থানার ওসি প্রসেনজিৎ দত্ত। যদিও, এ বিষয়ে তাঁরা স্পিকটি নট।
এই বিষয়ে জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু কোনার বলেন, “কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য বা ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য বিধায়ক একথা বলেছেন। এটা একেবারে সাধারণ কথা। এটা তিনি বলতেই পারেন। কারণ রাজ্য সরকারের তিনি একজন বিধায়ক।” এ প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্যে বাঙালীদের কাছে দুর্গা পুজো অন্য মাহাত্ম রাখে। বাংলার সঙ্গে দুর্গাপুজো সম্পৃক্ত হয়ে আছেন। আজ সেখানেই দখলদারি চাপিয়ে দিল তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী যদি অনুদান নাও দিতেন তাহলেও দুর্গার আগমন হত। তবে আজ যেভাবে সরকার একাধিপত্ত্ব ফলাচ্ছে তা নজিরবহিন।”