আউশগ্রাম: এলাকার রাস্তা বেহাল। বেহাল রাস্তায় চলাচল করতে নাজেহাল অবস্থা হয় গ্রামবাসীদের। এই পরিস্থিতিতে রাস্তার কাজ না হলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট এলাকায় দলকে জেতানো সম্ভব নয়। সাংসদ, বিধায়কদের কাছে এ কথা সাফ জানিয়ে দিলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের দিগনগর ১ অঞ্চলের ২২৯ নম্বর বুথের দলীয় প্রতিনিধিরা। রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় দিগনগর হাটতলায়। দিগনগর ১ নম্বর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের আয়োজনে এই পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনে ছিলেন বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মাল, আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার-সহ ব্লক তৃণমূলের নেতৃত্ব। সাংসদ বিভিন্ন বুথের দলীয় প্রতিনিধিদের কাছে এলাকার উন্নয়ন সংক্রান্ত খোঁজখবর নেন। তখনই রাস্তার জন্য জোরালো দাবি করেন দিগনগর ১ নম্বর অঞ্চলের ২২৯ নম্বর বুথের তৃণমূল কর্মীরা।
এ দিনের সম্মেলনে ২২৯ নম্বর বুথের কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন বুথ সভাপতি ভৈরব ঘোষ সম্মেলনে যোগ দেন। তিনি জানান ওই বুথের দলীয় সভাপতি সমীর সামন্ত অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি প্রতিনিধিত্ব করতে আসেন। ভৈরববাবু বলেন, “আমাদের নামো তেলতা থেকে ওপর তেলতা প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল। সেই সিপিএমের আমলে মোরাম পড়েছিল। আমাদের দল ক্ষমতায় আসার পর থেকে আর কাজ হয়নি। বারবার দলের নেতৃত্ব থেকে প্রশাসনের কাছে দরবার করেও রাস্তা হয়নি। তাই আজ সম্মেলনে বলেছি, রাস্তা না হলে আর মানুষ আমাদের ভোট দেবে না। তাই ২২৯ নম্বর বুথে আর দলকে জেতাতে পারবো না।“
জানা গিয়েছে, দিগনগর ১ অঞ্চলের নামো তেলতা, ওপর তেলতা এলাকা মিলে ১১১৪ জন ভোটার রয়েছেন। এই এলাকার রাস্তার দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টি হলেই রাস্তায় এক হাঁটু কাদা হয়ে যায়। কোনও গাড়ি চলাচল করতে পারে না। রোগীদের চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতে হয় খাটিয়ায় চাপিয়ে। স্কুল পড়ুয়ারা সাইকেল চালাতে পারে না। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা মানসী মুখোপাধ্যায় বলেন, “এলাকার মানুষ আমার কাছে এসে রোজ অভিযোগ করেন। অপমান করেন। অথচ রাস্তার জন্য বারবার দরবার করেও কাজ হয়নি। এই রাস্তা হলে এলাকার বহু মানুষ উপকৃত হবেন।“
বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মাল অবশ্য বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে কী উন্নয়ন হয়েছে সেটা আপামর জনতা জানেন। তবে দু-এক জায়গায় রাস্তাঘাটের সমস্যা থাকতে পারে। আশা করি দ্রুত তার সমাধান হয়ে যাবে।“