‘CPIM নেতার’ বাড়ি তৈরিতে ‘বাধা’ তৃণমূলের ব্লক সভাপতির, BDO-র ‘গ্রিন সিগন্যাল’ মানছে পঞ্চায়েতও?
CPIM-TMC: যদিও যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই তৃণমূল নেতা সৈয়দ কলিমউদ্দিন বলছেন, “মঈনুদ্দিন সিপিএম নেতা। কিছু লোকজন নিয়ে গোষ্ঠী করে বেআইনি ভাবে জমিটি কিনেছেন। ওই জমি নিয়ে বহু অভিযোগ আছে। আমরা চাই প্রশাসন গোটা বিষয়টি দেখে সিদ্ধান্ত নিক।”

রায়না: তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে আটকে বাড়ি তৈরির কাজ! এই খবরেই শোরগোল পূর্ব বর্ধমানের প্রশাসনিক মহলের অন্দরে। দলের ব্লক সভাপতির নাম জড়াতেই অস্বস্তি বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে। অভিযোগের তীর পূর্ব বর্ধমানের রায়না ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৈয়দ কলিমউদ্দিনের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ স্বীকার করে আসল ‘সত্যি’ সামনে এনেছেন ওই নেতা। ঠিক কোথা থেকে মূল ঘটনার সূত্রপাত?
স্থানীয় সূত্রে খবর, রায়না ২ নম্বর ব্লকের আড়ুই গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধবডিহি গ্রামে ৯ কাঠা জমি কেনেন শেখ মঈনুদ্দিন। তাঁর দাবি, জমির কাগজপত্রে কোনও গোলযোগ নেই। কিন্তু, তারপরেও ওই জমিতে বাড়ি তৈরি করতে গিয়ে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিডিও অফিসের দ্বারস্থ হওয়ার পরেও পঞ্চায়েত থেকে দেওয়া হচ্ছে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট। কোনও সুরাহা না হাওয়ায় শেষ পর্যন্ত তিনি জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন। দ্বারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।
মঈনুদ্দিন বলছেন, “২৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর জায়গার পাঁচিল ভেঙে দেওয়া হয় রাতের অন্ধকারে। সৈয়দ কলিমউদ্দিন বিভিন্ন ব্যক্তিকে দিয়ে আমার কাছে ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। টাকা দিলে তবেই মিলবে বাড়ি করার অনুমতি।” তিনি আরও বলছেন, “ইতিমধ্যেই আমি বিষয়টি বিডিও-র কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি। বিডিও ও বিএলআর আমাকে আমার জমিতে বাড়ি করার অনুমতি দেন। কিন্তু পঞ্চায়েত আমাকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিচ্ছে না। প্রধানের কাছেও আবেদন করেছি।” মঈনুদ্দিনের সাফ দাবি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পঞ্চায়েতকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিতে বাধা দিচ্ছেন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি।
যদিও যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই তৃণমূল নেতা সৈয়দ কলিমউদ্দিন বলছেন, “মঈনুদ্দিন সিপিএম নেতা। কিছু লোকজন নিয়ে গোষ্ঠী করে বেআইনি ভাবে জমিটি কিনেছেন। ওই জমি নিয়ে বহু অভিযোগ আছে। আমরা চাই প্রশাসন গোটা বিষয়টি দেখে সিদ্ধান্ত নিক।” এ নিয়ে জলঘোলা হতেই আসরে নেমে পড়েছে পদ্ম শিবিরও। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে বলছেন, “তৃণমূল নেতারা টাকার জন্য মুখিয়ে আছে। এটা তৃণমূলের কালচার।” যদিও এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান তিনি নাকি কিছুই জানেন না। খোঁজ নিয়ে জানাবেন।
