কালনা : কালনা পুরসভায় (Kalna Municipality) বোর্ড মিটিং চলাকালীন বেধে গেল ধুন্ধুমার কাণ্ড। অভিযোগ, প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান টাউন সভাপতি কাউন্সিলর রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে কাপ ছুড়ে মেরেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর অনিল বসু। গুরুতর চোট লাগায় কালনা মহকুমা হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথকে। এ ঘটনা কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকায়। দোষীর শাস্তির দাবিতে পথে নামল তৃণমূলের (Trinamool Congress) কর্মী-সমর্থকরা।
বুধববারই কালনা পুরসভায় বোর্ড মিটিং ছিল। সূত্রের খবর, মিটিং চলাকালীন সময়ে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাপস দাস সাফাই দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর অনিল বসুর কাছে কেন তাঁর ওয়ার্ডে কাজ হচ্ছে না তা জানতে চান। অভিযোগ, সে সময় অনিল বসু তাঁকে চেয়ার ছুড়ে মারতে যান। তাঁকে লক্ষ্য করে কাপ ছুড়ে মারেন। সেই কাপ লাগে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন ভাইস চেয়্যারম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে। মারাত্মকভাবে জখম হন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে কালনা হাসপাতাল সংলগ্ন STKK রোড আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। অভিযুক্ত কাউন্সিলর অনিল বসু সহ আরও এক কাউন্সিলরের শাস্তির দাবিতেও সরব হন বিক্ষুব্ধরা। তাঁদের গ্রেফতারির দাবিও জানানো হয়। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। অবরোধের জেরে দীর্ঘক্ষণ ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। পুলিশ এসে দোষীদের শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ উঠে যায়। তবে এই ঘটনায় সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর অনিল বসু। তিনি নন, এলাকার বিধায়ক ঘনিষ্ঠ অনুগামীরাই এই কাজ করেছেন বলে সাফাই দেন। তিনি বলেন, “এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। উনি টেবিল চাপড়াচ্ছিলেন। ওনার হাতই মুখে লাগে। তখনই একটা কাপ পড়ে ভেঙে যায়। বোর্ড মিটিংয়ে ১২ জন কাউন্সিলরের সামনে এটা হয়েছে। আমার নামে চক্রান্ত করে এটা করা হচ্ছে। বিধায়ক তাপস দাসের লবির লোকজনই এটা করছে।”
তবে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাপস দাস বলেন, “আড়াইটে থেকে বোর্ড মিটিং শুরু হয়। সুষ্ঠভাবেই মিটিং চলছিল। হঠাৎ ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্দীপ বসু, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিল বসু অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করলে আমার দিতে চেয়ার ছুঁড়ে মারতে আসে। বাধা পাওয়ার পর একের পর এক কাপ ছুঁড়তে থাকেন। তখনই ররীন্দ্রনাথবাবুর কপালে ও দাঁতে লাগে। উনি অজ্ঞান হয়ে যান।”