পূর্ব বর্ধমান : ৫০০ টাকা তোলা না দেওয়ায় ট্রাক চালককে মারধরের অভিযোগ মদ্যপ পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। সরকারি পাঠ্য পুস্তক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ট্রাকে, সেই ট্রাকের চালককেই মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার মসাগ্রাম এলাকায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কে এই ঘটনাটি ঘটে। প্রহৃত ট্রাক চালক শেখ নজরুল জেলাশাসককে লিখিত অভিযোগে পুরো ঘটনার কথা জানান। জেলা পুলিশ সুপার ও সভাধিপতিকে জানিয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
প্রহৃত ট্রাক চালক শেখ নজরুল পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি বর্ধমানের আঞ্জির বাগান এলাকায়। রাজ্য সরকার বিনামূল্যে স্কুলের পড়ুয়াদের যে পাঠ্যবই দেয় সেই বই তাঁর ট্রাকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। নির্দিষ্ট জায়গায় সেই বই পৌঁছে দেওয়ার জন্য সকালে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে তিনি ট্রাক চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। জাতীয় সড়কে কর্তব্যরত জামালপুর থানার পুলিশ কর্মীরা তাঁর পথ আটকায়। পুলিশ কর্মীরা তাঁকে বলে ’নো-এন্ট্রি’ চলছে, এখন ট্রাক নিয়ে যাওয়া যাবে না।
সেখান থেকে বেরিয়ে ট্রাক নিয়ে এগোতে যেতেই ৫০০ টাকা দিতে হবে বলে এক পুলিশ কর্মী তাঁকে জানিয়ে দেন। শেখ নজরুল জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের দেওয়ার জন্য সরকারি পাঠ্যবই তাঁর ট্রাকে রয়েছে। এ কথা জানিয়ে তিনি ৫০০ টাকা দিতে অস্বীকার করেন। অভিযোগ, তা শুনেই রেগে গিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন মদ্যপ অবস্থায় থাকা এক পুলিশ আধিকারিক। লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর তিনি জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য যান। পরে মারধরের ঘটনায় জড়িত পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে জামালপুর থানায় অভিযোগ জানাতে যান তিনি। কিন্তু ওই সময় জামালপুর থানায় থাকা কর্তব্যরত অফিসার তাঁর অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে তাঁকে ফিরিয়ে দেন বলে জানিয়েছেন ওই ট্রাক চালক।
ট্রাক চালক শেখ নজরুল জানিয়েছেন, যিনি তাঁকে মারধর করেছেন তিনি পুলিশ অফিসারই ছিলেন। কারণ ওই সময় তাঁকে মারধর করতে দেখে অপর এক পুলিশ কর্মী ওই মদ্যপ পুলিশ কর্মীকে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করে মারধর না করার জন্য বারে বারে অনুরোধ করছিলেন। তা সত্ত্বেও ওই মদ্যপ পুলিশ আধিকারিক তাঁকে মারধর করে।
আরও পড়ুন : Derek O’Brien on Suspension: ‘ফুটেজ দেখান আমায়’, সাসপেন্ড হয়েও কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ ডেরেকের