Katwa Municipality: ফি বছর পাড় ভাঙে অজয়ের, আশঙ্কা বাঁধ ভেঙে কাটোয়া শহরটাই না ভেসে যায়

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

May 22, 2022 | 8:48 PM

Ajay River: স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকৃতি তো আপন খেয়ালে চলবেই। কিন্তু প্রশাসন কী করছে? বারবার বললে, কখনও কখনও বালির বস্তা এনে ফেলে দেয় কিংবা বাঁশের খাঁচা জলে ফেলে দায়িত্ব সারে।

Katwa Municipality: ফি বছর পাড় ভাঙে অজয়ের, আশঙ্কা বাঁধ ভেঙে কাটোয়া শহরটাই না ভেসে যায়
বর্ষা এলেই ভয়। এই বুঝি সব ভাসাল।

Follow Us

পূর্ব বর্ধমান: পাড় ভাঙছে অজয়ের। প্রতি বছরই এই ভাঙন একটু একটু করে গ্রাস করে চাষের জমি। গত বছর প্রবল বর্ষণে আগ্রাসী হয়ে চরম ক্ষতি করেছে ক্ষেতের। এবারও কম বেশি সেই অবস্থা। এখনও বাংলায় বর্ষা আসেনি। তবে তার আগে থেকেই ভাঙন শুরু কাটোয়ার অজয় ভাগীরথী সঙ্গমস্থলের দীর্ঘ ২ কিলোমিটার অজয় নদীর পাড়ের। শুধু চাষের জমি নয়, গ্রাস করছে নদের ধারে থাকা বাড়িঘরও। স্থানীয়দের অভিযোগ, কাটোয়া পুরসভাকে জানানোর পর সেচ দফতরকে চিঠিও দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। এই ভাঙনের ফলে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কাটোয়া পুরসভার ১, ১৫, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড। ২০২১ সালে কার্যত বছরভরই বৃষ্টি হয়েছিল। অতিবৃষ্টি ভাসিয়েছিল অজয়ের পাড়। নদীর জলে ডুবেই ছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। আবারও বর্ষা আসছে। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হলেই যেভাবে হুড়মুড়িয়ে পাড় ভাঙে, তাতে বর্ষা এলে যে কী হবে, ভেবে কূল পাচ্ছেন না এলাকার লোকজন। কেউ কেউ বলছেন, পুরএলাকায়ও যে এমন দুর্ভোগ হয় অন্যরা ভাবতেই পারবে না।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকৃতি তো আপন খেয়ালে চলবেই। কিন্তু প্রশাসন কী করছে? বারবার বললে, কখনও কখনও বালির বস্তা এনে ফেলে দেয় কিংবা বাঁশের খাঁচা জলে ফেলে দায়িত্ব সারে। কিন্তু জল বেড়ে গেলে এসব ‘পাচন’ কি আর কাজে লাগে? তখন যে কড়া দাওয়াই দরকার। সেচ দফতরের আধিকারিকরা সরকারিভাবে এ নিয়ে কিছু বলছেন না। তবে তাঁদের মৌখিক বক্তব্য, পাড় ভাঙা রুখতে বালির বস্তা, বাঁশ বা কাঠের মাচা কাজ দেয়। তবে গতবার এতই ঝড়জল হয়েছে, তাতে মোকাবিলা করা যায়নি।

কাটোয়া পুরসভার মধ্যে পড়ে শাখাই ঘাট। এই ঘাটের একদিকে অজয়, অন্যদিকে ভাগীরথীর জলস্রোত। বৃষ্টি হলে এই নদ-নদীর জল মিলে ফুঁসতে শুরু করে। তাতেই ঘটে বিপত্তি। এক এক সময় তো অজয়ের বাঁধ অবধিও জল চলে যায়। কাটোয়ার পুরপ্রধান সমীর সাহা বলেন, “অজয়ের পাড় গতবারের বর্ষায় অনেকটাই ভেঙে যায়। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েও ফল পাইনি। কিছুদিন আগে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বৈঠক করে এই সমস্ত বিষয় জানিয়ে এসেছি। উনি সেচ দফতরকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।” পুরপ্রধানের আশঙ্কা, কড়া হাতে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, আগামিদিনে অজয়ের বাঁধ ভেঙে গোটা কাটোয়া শহরও প্লাবিত হতে পারে।

Next Article