Katwa Municipality: ‘বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে কাটোয়ায়’, সরব তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ভাইপো
Katwa: অভিযোগ, সম্প্রতি রণজিৎ চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন, কাটোয়া শহরজুড়ে চলছে অবৈধ নির্মাণ। পুরসভা সব জেনেও চুপ রয়েছে। এই ঘটনায় মোটা অঙ্কের টাকার লাভ আছে বলেও নাকি দাবি করেন তিনি।
পূর্ব বর্ধমান: কাটোয়া পুরসভায় জোর তরজা। পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়। যিনি সম্পর্কে কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ভাইপো। রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বেআইনি বাড়ি তৈরি হয়েছে। কোনওরকম পরিকল্পনা ছাড়া তা তৈরি হয়েছে। এই ঘটনায় যাঁরা যুক্ত, ‘তাঁরা চোর’, প্রকাশ্যেই বলেই রণজিৎ। এই ঘটনায় বেজায় বিরক্ত পুরপ্রধান। সূত্রের খবর, এর জেরে ধমক পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে। এমনিতেই প্রায় প্রায়ই বিভিন্ন রাজনৈতিক টানাপোড়েন ঘিরে শিরোনামে উঠে আসে কাটোয়া পুরসভা। এবার আবার বেনিয়মের অভিযোগ উঠল। তাও আবার সে অভিযোগ তুললেন, শাসকদলের বিধায়কের ভাইপো।
অভিযোগ, সম্প্রতি রণজিৎ চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন, কাটোয়া শহরজুড়ে চলছে অবৈধ নির্মাণ। পুরসভা সব জেনেও চুপ রয়েছে। এই ঘটনায় মোটা অঙ্কের টাকার লাভ আছে বলেও নাকি দাবি করেন তিনি। মূলত এ নিয়েই তরজা শুরু। পুরসভা সূত্রের খবর, রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন পুরসদস্যদের একটা বড় অংশ। এ নিয়ে পুরপ্রধান সমীর সাহার কাছে অভিযোগ জানান। এরপরই সোমবার কাটোয়া পুরসভায় রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠান পুরপ্রধান। রীতিমতো তাঁকে ধমক দিয়ে নিজের এলাকা নিয়ে মাথাঘামানোর কথা বলেন। সূত্রের খবর, এই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে পুরপ্রধানের কাছে অভিযোগ জানান ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। পুরপ্রধান সমীর সাহা বলেন, যাঁর বিরুদ্ধে এই নির্মাণের অভিযোগ, “আমরা চিঠি দিয়ে ডেকে পাঠিয়েছি। তাঁর সঙ্গে কথা না বলে এ বিষয়ে এখনই মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তবে আইনগত দিক দিয়ে যা করা দরকার, পুরসভা নিশ্চয়ই করবে।”
অন্যদিকে রণজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি কোনও পুরসদস্যকে চোর বলিনি। পুরসদস্যদের কোনও সমস্যাও নেই। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে একটা বেআইনি বাড়ি তৈরি হয়েছে। সেটার সঙ্গে যারা যুক্ত তারাই চোর। আমি এটুকুই বলেছি। কোনও প্ল্যান নেই বাড়িটার। পাশের বাড়ির একজন গরীব লোক, তিনি জায়গা ছেড়ে বাড়ি করেছেন। অথচ যিনি লাখপতি তিনি জায়গা না ছেড়ে রাতের অন্ধকারে ঢালাই করে ফেললেন। আমি বারবার এ নিয়ে বলেছি। তাতে কোনও লাভ হয়নি। এইজন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আমি লিখেছি। আর পুরসভা যদি প্ল্যান ছাড়া কাজের অনুমতি দেয়, তা হলে তার দায় তো পুরসভাকেও নিতেই হবে।”
এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “৬ নম্বরের যিনি কাউন্সিলর তিনি কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত। তাঁর তো একটা উদ্দেশ্য থাকবেই পুরসভাকে দুর্নাম করার। কাটোয়া পুরসভা সঠিক ভাবে সঠিক রাস্তায় চলে। আর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর যে অভিযোগ করছেন, তা নিয়ে আগেই পুরসভা অভিযোগ পেয়েছে। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকে পুরসভা ডেকেও পাঠিয়েছে। আইন মেনে এটাই হয়। এরপর দু’পক্ষের শুনানি হবে। এরপরই যা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এটা তো হয় না, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ হতেই সেই বাড়ি গিয়ে পুরসভা বা কাউন্সিলর ভেঙে দেবে।”