পূর্ব বর্ধমান: বিরোধী দলের প্রার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের চেষ্টার অভিযোগ। নাম জড়াল শাসকদলের। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি, বিরোধীরা সর্বত্রই মনোনয়ন জমা দিয়েছে। একইসঙ্গে শাসকদলের নেতাদের বক্তব্য, ভোটে লড়াই করে জেতায় তাঁরা বিশ্বাসী। পেশিশক্তিতে ভরসা নেই তাঁদের। তবে শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ে যায় বর্ধমান-১ ব্লকে। অভিযোগ, বিজেপির তিন প্রার্থীকে বিডিও অফিস অবধিও নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূলের লোকেরা। শেষ মুহূর্তে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।
বর্ধমান জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা-এর অভিযোগ, বর্ধমান-১ ব্লকের তিনজন প্রার্থীকে শাসকদলের পক্ষ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হয়। এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগও জানানো হয়েছে বলে দাবি তাঁর। অভিজিৎ জানান, তাঁদের প্রার্থী কার্তিক শিট, আনন্দ মাজিদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় শনিবার। তবে খবর পেয়ে যুব মোর্চার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিডিও অফিসে চলে যান। দুই বিজেপি প্রার্থী কার্তিক শিট ও আনন্দ মাজি জানান, বিডিও অফিসে দলের নেতৃত্বকে দেখে আশ্বস্ত হন তাঁরা।
অভিজিৎ তা-এর কথায়, “আজ দুপুরে আমাকে একজন জানান তিনজন প্রার্থীকে তৃণমূলের কিছু লোকজন তুলে নিয়ে গিয়েছে। অন্য রাজনৈতিক দলেরও কয়েকজনকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের জন্য বিডিও অফিসে নিয়ে যাচ্ছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীদের নাম ও কারা নিয়ে যাচ্ছে তাদের নাম পাঠাতে বলি। আমার হোয়াটসঅ্যাপে এসেও পৌঁছয়। একটা ভয়ের পরিবেশ চলছে। পুলিশকেও জানাই। পুলিশ আশ্বাসও দেয়। তবে আমাদের তিন প্রার্থীকে ততক্ষণে বিডিও অফিসের ভিতরে ঢুকিয়ে সই করানো শুরু করছে। দু’জন আমাদের লোকজনকে দেখে সাহস করে ছুটে বেরিয়ে আসে। তবে এই প্রবণতা ভয়ঙ্কর।”
যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের কথায়, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ আমরা ভোটে লড়েই জিততে চাই। বিরোধীরা পর্যাপ্ত মনোনয়নও জমা দিয়েছে। তৃণমূলের সাহায্য যেমন যেখানে চেয়েছে, তাও পেয়েছে। মনোনয়নপর্ব শেষ হতেই মিথ্যা অভিযোগ করে লাভ নেই। আর কেউ যদি এরকম করেও থাকে তৃণমূল কংগ্রেসের এর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।” তবে আনন্দ, কার্তিকরা এখনও ভয়ে। বলছেন, আজ দলের লোক গিয়ে রক্ষা করেছে ঠিকই। তবে বাড়িতে চড়াও হলে কে রক্ষা করবে?