পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমানে মাটি উৎসবের মঞ্চ থেকে বিজেপি সরকারকে ‘কৃষক বিরোধী’ বলে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বাংলার কৃষকদের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনারও অভিযোগ তোলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, অন্যান্য রাজ্য থেকে ধান সংগ্রহ করলেও, বাংলা থেকে কেন্দ্র ধান নেয় না। একইসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দেন কিষাণমাণ্ডিগুলিকে। যদি কেউ কৃষকদের ফিরিয়ে দেয় বা সময়মতো কাজ না হয়, তা হলে যেন থানায় এফআইআর দায়ের করেন। মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যে বুঝিয়ে দেন তাঁর ‘কৃষকদরদি’ সত্ত্বার দিকটি। তিনি বলেন, কৃষকদের জমি যাতে কেড়ে না নেওয়া হয় সে কারণে টানা ২৬ দিন অনশন করেছেন তিনি। ভোটের আগে কৃষকস্বার্থে যা যা ঘোষণা করেছিলেন, সমস্ত কথা তিনি রেখেছেন। কিন্তু কেন্দ্র একেবারেই কৃষকদের কথা ভাবে না বলেই মন্তব্য করেন মমতা।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রতি বছর সবথেকে বেশি ধান উৎপাদন হয় এখানে। প্রায় ২৫৩ লক্ষ মেট্রিক টন। অথচ কেন্দ্র সরকার ১ লক্ষ মেট্রিক টন ধানও এখান থেকে সংগ্রহ করেনি। অন্য রাজ্যে যেখানে আমাদের থেকে ধান কম হয়, তাদের থেকে কেনে। আমরা কিন্তু বিনামূল্যে রেশনের জন্য যে চাল লাগে, তা কৃষকদের থেকে কিনে নিই।” একথার রেশ ধরেই উঠে আসে কিষাণমাণ্ডির প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসককে সাফ বার্তা দেন, কিষাণমাণ্ডিতে কোনওভাবেই কৃষক যেন বঞ্চনার শিকার না হন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এখানে মুখ্যসচিব, জেলাশাসক, পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি আছেন। হিমঘর, কৃষক পরিবারের সদস্যরাও আছেন। আমার কাছে কিছু কিছু অভিযোগ আসছে। অনেক সময় চাষিরা যখন কিষাণমাণ্ডিতে ধান বিক্রি করতে যান, তাঁদের ঘোরানো হয় বা তাঁদের নানারকমভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আমি আজ বলে যাচ্ছি, যেখানে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে, সেখানে যদি কোনও কৃষককে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তা মেনে নেওয়া হবে না। যদি কেউ আপনাকে সময়মতো কাজটা না করে দেয়, আপনি বিডিও অফিসে যাবেন। থানায় এফআইআর করবেন। ওসিকে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনও কৃষককে যাতে ফিরতে না হয়। যিনি দায়িত্ব নেবে না, তাঁর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই।”