পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল দোতলা বাড়ির একটা অংশ। তাতেই প্রাণ গেল অবলা ১০ গৃহপালিত পশুর। এই ঘটনায় জখম হন এক মহিলাও। বৃহস্পতিবার রাতে ভাতারের শিলাকোট গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, এদিন রাতে বাড়ির নীচে রান্না করছিলেন মহিলা। সে সময় তিনি ছাড়া বাড়িতে আর কেউ ছিলেন না। হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাড়ির উপরের একটা অংশ। তিনি একেবারে চাপা পড়ে যান। এলাকার লোকজন এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহুদিন ধরেই বাড়িটার খারাপ অবস্থা। বারবার বলা হলেও কাজ হয়নি।
শিলাকোট গ্রামের বাসিন্দা জগন্নাথ প্রামাণিকের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, ওই মাটির দোতলা বাড়ির অবস্থা মোটেই ভাল ছিল না। এরইমধ্যে বৃষ্টির কারণে অবস্থা আরও খারাপ হয়। এরপরই বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ জয়দেবদের চালাঘরের উপর ভেঙে পড়ে সেটি। সেই সময় বাড়িতে ছাগল, ভেড়া রাখা ছিল। ১০টি ভেড়া মারা যায়। জয়দেবের স্ত্রী বন্দনা প্রামাণিকও চাপা পড়েন ভাঙা ঘরের অংশে। বন্দনা প্রামাণিক বলেন, “গ্যাসে রান্না করছিলাম। হঠাৎই দেখি কী যেন ধসে পড়ছে। কিছু বোঝার আগেই ঘরের অংশ ভেঙে পড়ে গায়ের উপর। সে সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। শব্দ শুনে লোকজন ছুটে আসে। দু’জন টেনে বের করেন। শরীরের ডানদিকটা নাড়তে পারছি না যন্ত্রণায়।”
মমতা প্রামাণিক নামে জয়দেবদের এক আত্মীয়ের অবশ্য দাবি, “কিছুদিন আগে একেবারে এলাকা ডুবে গেছিল জলে। সে সময়ই বাড়িটায় ফাটল দেখা গিয়েছিল। পাড়ার লোকেরা বাড়িটা ঠিক করার জন্য বলেও। কিন্তু খুব কষ্ট করে দিন কাটে আমাদের। কীভাবে বাড়ি ভেঙে আবার সারাব? এরপর আর ভাঙতেও পারিনি।”
এলাকার বাসিন্দা হাবলা দাস মল্লিক বলেন, ” রাত আটটা নাগাদ বিকট শব্দ হয়। আশেপাশের সব লোকজন ছুটে আসেন। জয়দেব প্রামাণিকের স্ত্রী চাপা পড়েছিলেন সেখানে। শুধু মাথাটুকু বেরিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে এসে ওনাকে টেনে বের করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জখমের থেকেও উনি বেশি ভয় পেয়ে গেছেন। কেমন একটা থতমত অবস্থা। বাড়িটার অবস্থা খুবই খারাপ। বাড়ির মালিককে বলাও হয়েছিল। তিন বছর ধরে এই অবস্থা। কিন্তু ওরা তো কিছু করলই না।”
আরও পড়ুন: 19,867.8 MHz স্পেকট্রাম অধিগ্রহণ করে ভারতীয়দের জন্য 5G বিপ্লব ঘটাতে চলেছে এয়ারটেল