পূর্ব বর্ধমান: কালনা মহকুমার সমুদ্রগড় উচ্চবিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। সেখানে প্রশ্ন এসেছে, একজন পার্শ্বশিক্ষকের বেতন নিয়ে। বেতন বললে ভুল হবে, প্রশ্ন করা হয়েছে, সংসার চালাতে মাসে কত টাকা ধার করতে হয় একজন পার্শ্বশিক্ষককে। কী লেখা রয়েছে প্রশ্নপত্রে? ‘একজন পার্শ্বশিক্ষক তাঁর তিন মাসের আয় দিয়ে দু’ মাসের সংসার চালান। তাঁর মাসিক আয় ১২ হাজার টাকা হলে, ওনাকে সংসার চালাতে বছরে কত টাকা ধার করতে হয়?’ এই প্রশ্ন নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর এই প্রশ্ন যিনি তৈরি করেছেন, তিনিও এই স্কুলের একজন পার্শ্বশিক্ষক। নাম বংশীলাল বাগ।
এই প্রশ্ন নিয়ে বংশীলালবাবুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আমি মনে করি এই প্রশ্নটা নিয়ে কোনও বিতর্ক হওয়ার কথাই নয়। কারণ, অঙ্ক বইতে একজন কৃষক, একজন ব্যবসায়ী, একজন গোয়ালা, একজন ডাক্তার বিভিন্ন পেশার উল্লেখ করে অঙ্ক থাকে। আমি সেখানে সেই পেশাটা রেখেছি, যেটা আমি করি। আমি এই পেশাটা আমি ভালবাসি। যারা বিতর্ক করছে, তারা নিজেদের ইচ্ছায় করছে। এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। পার্শ্বশিক্ষক যেহেতু দিয়েছি, তাঁর আয়ের সঙ্গে মানানসই বেতন না দিলে সেটা তো বাস্তবসম্মত হয় না। তাই সেটাই দিয়েছি।”
অনেকে অবশ্য বলছেন, এই প্রশ্নপত্রে আসলে বংশীলাল বাগের প্রতিবাদ কোথাও যেন উঠে এল। যদিও এই মাস্টারমশাইয়ের বক্তব্য, “সেটা মানুষ বিচার করবে। যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্রটা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে, সেটা বরং মানুষই বিচার করুক, এটা প্রতিবাদ নাকি শুধুই একটা অঙ্ক।” এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি। স্কুলেরই আরেক পার্শ্বশিক্ষিকা কল্পনা ভৌমিক বলেন, “আমাদের জ্বালা যন্ত্রণার ব্যাপারটা আলাদা। স্কুলের ব্যাপারটা একেবারেই আলাদা। প্রত্যেকেরই একটা কষ্ট আছে। সংসার চালাতে কষ্ট হয়। তবে এই প্রশ্ন নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। এমন প্রশ্ন তো আমরা দেখি বইয়ে।”
পূর্ব বর্ধমান: কালনা মহকুমার সমুদ্রগড় উচ্চবিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। সেখানে প্রশ্ন এসেছে, একজন পার্শ্বশিক্ষকের বেতন নিয়ে। বেতন বললে ভুল হবে, প্রশ্ন করা হয়েছে, সংসার চালাতে মাসে কত টাকা ধার করতে হয় একজন পার্শ্বশিক্ষককে। কী লেখা রয়েছে প্রশ্নপত্রে? ‘একজন পার্শ্বশিক্ষক তাঁর তিন মাসের আয় দিয়ে দু’ মাসের সংসার চালান। তাঁর মাসিক আয় ১২ হাজার টাকা হলে, ওনাকে সংসার চালাতে বছরে কত টাকা ধার করতে হয়?’ এই প্রশ্ন নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর এই প্রশ্ন যিনি তৈরি করেছেন, তিনিও এই স্কুলের একজন পার্শ্বশিক্ষক। নাম বংশীলাল বাগ।
এই প্রশ্ন নিয়ে বংশীলালবাবুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আমি মনে করি এই প্রশ্নটা নিয়ে কোনও বিতর্ক হওয়ার কথাই নয়। কারণ, অঙ্ক বইতে একজন কৃষক, একজন ব্যবসায়ী, একজন গোয়ালা, একজন ডাক্তার বিভিন্ন পেশার উল্লেখ করে অঙ্ক থাকে। আমি সেখানে সেই পেশাটা রেখেছি, যেটা আমি করি। আমি এই পেশাটা আমি ভালবাসি। যারা বিতর্ক করছে, তারা নিজেদের ইচ্ছায় করছে। এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। পার্শ্বশিক্ষক যেহেতু দিয়েছি, তাঁর আয়ের সঙ্গে মানানসই বেতন না দিলে সেটা তো বাস্তবসম্মত হয় না। তাই সেটাই দিয়েছি।”
অনেকে অবশ্য বলছেন, এই প্রশ্নপত্রে আসলে বংশীলাল বাগের প্রতিবাদ কোথাও যেন উঠে এল। যদিও এই মাস্টারমশাইয়ের বক্তব্য, “সেটা মানুষ বিচার করবে। যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্রটা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে, সেটা বরং মানুষই বিচার করুক, এটা প্রতিবাদ নাকি শুধুই একটা অঙ্ক।” এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি। স্কুলেরই আরেক পার্শ্বশিক্ষিকা কল্পনা ভৌমিক বলেন, “আমাদের জ্বালা যন্ত্রণার ব্যাপারটা আলাদা। স্কুলের ব্যাপারটা একেবারেই আলাদা। প্রত্যেকেরই একটা কষ্ট আছে। সংসার চালাতে কষ্ট হয়। তবে এই প্রশ্ন নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। এমন প্রশ্ন তো আমরা দেখি বইয়ে।”