TMC Candidate: তারকা নন, পোড় খাওয়া রাজনীতিকও নন, তৃণমূলের তালিকায় কে এই শর্মিলা?

TMC Candidate: শর্মিলা সরকার নতুন মুখ হলেও তাঁর জয় নিয়ে আশাবাদী কর্মীরা। বর্ধমানে তৃণমূল কর্মীরা জানিয়েছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ সব উন্নয়নমূলক প্রকল্পকে সামনে রেখে প্রচার চালানো হবে। তবে সাংসদ পদে থাকা সুনীল মণ্ডল মনে করছেন, পরিচিত মুখ হলেই ভাল হত। তিনি বলেন, "তিনি নতুন মুখ, তিনি কতটা কাজ করতে পারবেন বোঝা যাচ্ছে না।"

TMC Candidate: তারকা নন, পোড় খাওয়া রাজনীতিকও নন, তৃণমূলের তালিকায় কে এই শর্মিলা?
ড. শর্মিলা সরকারImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 10, 2024 | 6:33 PM

কলকাতা: হয় তারকা, নাহয় রাজনীতিক, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় থাকা বেশিরভাগ নামই মানুষের পরিচিত। তবে পূর্ব বর্ধমানের প্রার্থী হিসেবে যাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁকে রাজনীতির ময়দানে কেউ কখনও দেখেননি। তথাকথিত তারকাও তিনি নন। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্র থেকে জিতে তৃণমূলের সাংসদ হয়েছিলেন সুনীল কুমার মণ্ডল। এবার সেই কেন্দ্রেই টিকিট দেওয়া হয়েছে ড. শর্মিলা সরকারকে।

রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে ৪২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, পূর্ব বর্ধমান থেকে প্রার্থী হচ্ছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত, সাইকিয়াট্রি তথা মনোরোগ বিদ্যার অধ্যাপিকা ড. শর্মিলা সরকার। এই ঘোষণার পরই পূর্ব বর্ধমানের অলিতে-গলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে শর্মিলার নামে দেওয়াল লিখন।

জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানেরই মেয়ে শর্মিলা। কাটোয়ার অগ্রদ্বীপে তাঁর বাড়ি। বর্তমানে দমদমে থাকেন কর্মসূত্রে। উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত কাটোয়ায় থেকেই পড়াশোনা করেছেন তিনি। পরে ডাক্তারি পড়তে কলকাতায় যান তিনি। আরজিকর মেডিক্যাল থেকে পড়াশোনা করেছেন শর্মিলা। এক দশকের বেশি সময় ধরে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন তিনি। একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও তিনি যুক্ত। তবে রাজনীতির ময়দানে এই প্রথমবার দেখা যাচ্ছে তাঁকে।

শর্মিলা সরকার নতুন মুখ হলেও তাঁর জয় নিয়ে আশাবাদী কর্মীরা। বর্ধমানে তৃণমূল কর্মীরা জানিয়েছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ সব উন্নয়নমূলক প্রকল্পকে সামনে রেখে প্রচার চালানো হবে। তবে সাংসদ পদে থাকা সুনীল মণ্ডল মনে করছেন, পরিচিত মুখ হলেই ভাল হত। তিনি বলেন, “তিনি নতুন মুখ, তিনি কতটা কাজ করতে পারবেন বোঝা যাচ্ছে না। পেশায় চিকিৎসক হয়ে কখন কাজ করেন সেটাই দেখার। পরিচিত মুখ থাকলে কাজের ক্ষেত্রে সুবিধা হত। পার্লামেন্ট চিনতেই ৫ বছর সময় লেগে যাবে।”

এর আগেও এভাবে নতুন মুখকে বিভিন্ন সময় সামনে এনেছেন মমতা। ২০১৪ সালে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন চিকিৎসক মমতাজ সংঘ্মিতা। মমতাজ একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। ২০১৯-এ পরাজিত হন তিনি। এছাড়া বাঁকুড়ার সমাজকর্মী জ্যোৎস্না মান্ডিকেও বিধায়ক পদ দেন মমতা। বর্তমানে তিনি রাজ্যের মন্ত্রীও।