কালনা: স্ত্রী’র স্বীকৃতি পেতে কালনায় শিক্ষকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন এক মহিলা। শিক্ষকের বাড়ির সামনে বসেই সর্বসমক্ষে নিজেকে ওই শিক্ষকের স্ত্রী বলে দাবি করতে থাকেন তিনি। অতসী বিশ্বাস ওই মহিলাকে পরিবারের সদস্যরা মারধর করে তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। শনিবার রাতেই এই অভিযোগ নিয়ে কালনা থানার দ্বারস্থ হন এই মহিলা। অভিযোগ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ওই শিক্ষক।
কালনার সিংরাইল গ্রামের ঘটনা। ওই মহিলার দাবি, বিন্দাদেবী হাই স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক অজয় পালের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু এখন তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখছেন না অজয়।
জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালে কালনার সুন্দলপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক অজয় পালের সঙ্গে গ্রামেরই বাসিন্দা এই মহিলার ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০০৮ সালের পর দু’জনের সম্পর্কে ছেদ পড়ে। ২০১০ সালে মহিলার বিয়ে হয় অন্যত্র। অভিযোগ শ্বশুরবাড়িতে শিক্ষকের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ার পর মহিলার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মহিলার একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হলেও স্বামী-স্ত্রী’র বিবাদে বিচ্ছেদ হয় তাঁদের।
ফের শিক্ষক ও মহিলার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হয় ওই মহিলার। ২০১৯ সালে কালনার একটি মন্দিরে শিক্ষকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে বলে দাবি করেন অতসী। ২০২১ সালে প্রথম দিক পর্যন্ত শিক্ষকের বাড়িতে এই বিষয়ে বাড়িতে কেউ না জানলেও, মাস দুয়েক আগে শিক্ষকের বাড়িতে বিষয়টি জানাজানি হয়। মহিলা জানিয়েছেন, জানাজানি হওয়ার পর থেকেই শিক্ষকের সঙ্গে আর তাঁকে যোগাযোগ করতে দিচ্ছেন না বাড়ির লোকেরা।
এ কারণেই শনিবার সকালে শিক্ষকের স্ত্রী’র স্বীকৃতি চেয়ে শিক্ষকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন তিনি। এই ঘটনায় বিষয়ে শিক্ষকের কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও শিক্ষকের ভাই বিজয় পাল বলেন, ‘ঘটনার সত্যতার প্রমাণ কি, তা আমরা আইনগত ভাবে খতিয়ে দেখব।’ আরও পড়ুন: ‘মাষ্টারমশাই নেই!’ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী