রামনগর ও বারাসাত: নয় নয় করে সেই পঞ্চাশ ছুঁয়েই ফেলল মৃত্য়ু সংখ্যা। সরকারি পরিসংখ্যানে নজর দিলে, ইয়াস পরবর্তী বঙ্গে বজ্রাঘাতে মৃতের সংখ্যা অন্তত ৫০ ছাড়িয়েছে। নথিভুক্ত করা হয়নি এমন মৃত্য়ু সংখ্যা কত তা স্পষ্ট নয়। বঙ্গে বাজে মৃত্যু খুব অপরিচিত না হলেও এত ঘন ঘন মৃত্যু বিশেষ পরিচিত নয়। বিশেষ করে ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকেই বেড়েছে এই মৃত্যু সংখ্যা। শনিবার, ফের বজ্রপাতে দুই জেলায় মৃত্যু হল দুজনের।
পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে মাঠে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। রামনগর থানার পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম সত্য়েন্দ্রনাথ জানা। জানা গিয়েছে, বছর পঞ্চান্নর ওই বৃদ্ধ রামনগরের মৈতনা গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার বিকেলে তিনি মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত হয় এবং ঘটনা স্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে রামনগর থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
রামনগর থানার ওসি সৌরভ চিন্না জানিয়েছেন, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে, জমিতে ধান রোপণ করার সময় বাজ পড়ে মৃত এক মহিলা। নাম জবা হাঁসদা। ঘটনাটি ঘটেছে আম ডাঙার মরিচা পঞ্চায়েত এলাকার উত্তর মরিচা গ্রামে। শনিবার বিকেলের দিকে মাঠে বজ্রাঘাতে ওই মহিলার আহত হওয়ার কথা শুনতেই স্থানীয়রা উদ্ধার করে আম ডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসাত জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, এদিনই নন্দীগ্রামে মাঠে চাষের কাজে গিয়ে মাথায় বাজ পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে কাকা-ভাইপোর। শনিবার বেলার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এলাকায়। মৃতদের নাম মানস জানা (২৮) ও কৃষ্ণকান্ত জানা (২৬)। সম্পর্কে তাঁরা কাকা-ভাইপো। এছাড়াও এদিন বাজের আঘাতে আহত হয়েছেন সীতা বর (৪০) নামে এক মহিলা। আরও পড়ুন: বিক্রির সময়ে শুধু বদলে যেত প্যাকেজিং, পুলিশি অভিযানে প্রকাশ্যে রেশনের কালোবাজারি!