বিক্রির সময়ে শুধু বদলে যেত প্যাকেজিং, পুলিশি অভিযানে প্রকাশ্যে রেশনের কালোবাজারি!
Ration: খাদ্য় দফতর ও পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাগুড়ির ওই দুটি গুদামঘরে অবৈধভাবে রেশন সামগ্রীর কালো কারবার চলছে। অনেকদিন ধরেই, ময়নাগুড়ির এলাকাবাসী অভিযোগ করেন প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমাণ সামগ্রী উপলব্ধ হচ্ছে তাঁদের।
জলপাইগুড়ি: আচমকা অভিযানে নামল খাদ্য় দফতর। ময়নাগুড়ির দুটি গুদামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ রেশন (Ration) সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করলেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা। পলাতক গুদাম মালিক।
খাদ্য় দফতর ও পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাগুড়ির ওই দুটি গুদামঘরে অবৈধভাবে রেশন সামগ্রীর কালো কারবার চলছে। অনেকদিন ধরেই, ময়নাগুড়ির এলাকাবাসী অভিযোগ করেন প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমাণ সামগ্রী উপলব্ধ হচ্ছে তাঁদের। অভিযোগ, সময়ে সময়ে মিলছে নিম্নমানের সামগ্রীও। কিন্তু, সেই রেশন কোথায় যাচ্ছে তা বুঝে উঠতে পারেননি সরকারি আধিকারিকরা। অবশেষে গোপনে অভিযান চালিয়ে দুটি গোপন গুদামের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। ওই গুদামেই জমা করা হত রেশনের সমস্ত সামগ্রী। সেখান থেকে নতুন করে প্যাকেজিং করিয়ে সেই চাল-আটা-ডাল পৌঁছে যেত বাজারে। এভাবেই চলছিল রেশনের কালোবাজারি এমনটাই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
খবর পেয়েই ময়নাগুড়ির বিডিও, খাদ্য দফতর ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে প্রায় এক হাজার বস্তা খাদ্য সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। যার বাজার মূল্য অন্তত কয়েক লক্ষ্য টাকা। এদিন, অভিযানের সময় গুদামের মালিক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পলাতক গুদাম মালিকের খোঁজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ঘটনায় খাদ্য দফতরের আধিকারিক অজয় মিশ্রা বলেন, “আজ ময়নাগুড়ির দুটি গোডাউনে অভিযান হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুলিশি তদন্তের রিপোর্ট পেলেই বিস্তারিত জানা যাবে।” আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে ‘দুর্নীতি’, ‘আর্থিক তছরূপ’! গ্রেফতার ২ তৃণমূল নেতা