Nandigram: নন্দীগ্রামে ফের বিজেপিতে ভাঙন, শক্তি বাড়িয়েও কোন্দল কাঁটা পিছু ছাড়ল না তৃণমূলকে
Nandigram: তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এদিন ৫০ জনের বেশি নেতা-কর্মী এদিন বিজেপি থেকে তাঁদের দলে যোগ দেন। অন্যদিকে তৃণমূলের অন্দরেই ফের প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দল। তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর শোরগোল।

নন্দীগ্রাম: ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। পদ্ম থেকে ঘাসফুল, ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছে সব পক্ষই। এরইমধ্যে নন্দীগ্রামে জোর ধাক্কা বিজেপির। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এদিন ৫০ জনের বেশি নেতা-কর্মী এদিন বিজেপি থেকে তাঁদের দলে যোগ দেন। অন্যদিকে তৃণমূলের অন্দরেই ফের প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দল। রেগে সভা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন প্রাক্তন ব্লক সভাপতি। তা নিয়েও চাপানউতোর জেলার রাজনৈতিক মহলে।
নন্দীগ্রাম দুই ব্লকে একটি কমিউনিটি হলে যোগদান পর্ব ও কর্মীদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক ছিল। আর সেই সভাতেই প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও বর্তমানে জেলার সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বিজেপির তলে তলে যোগ থাকার অভিযোগ তুললেন দলেরই একাংশের কর্মী। উঠতে থাকে স্লোগান। বাড়তে থাকে অস্বস্তি। সেই সভায় বর্তমান জেলা সভাপতি-সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বরা উপস্থিত। সেই সময়ই মঞ্চের নিচের থেকে কর্মীরা ন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অরুনাভ ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত সভা মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় অরুনাভবাবুকে। যদিও বাইরে তিনি এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। শুধু বলছেন, “কিছু লোকজন আমাকে গালিগালাজ করছিল। কিন্তু সভাটা আমাদের দলের সভা। আর কর্মীরা আমাদের সম্পদ। তাঁরা কোনও কারণে ভুল বুঝতেই পারে। সেটা মাথায় রেখেই জেলা সভাপতির অনুমতি নিয়ে আমি বেরিয়ে আসি।”
এ নিয়ে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলছেন, এটা পুরোপুরি তৃণমূলের নিজস্ব বিষয়। যদিও এরপরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে তিনি আরও বলেন, “নন্দীগ্রামে ২ নম্বর ব্লকে তৃণমূলের কোনও অস্তিত্ব আছে বলে আমার মনে হয় না। যেটুকু বাকি আছে আগামী নির্বাচনে সবটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে।” তবে ৫০ জনের দলবদল নিয়ে তিনি বলছেন, “দু-একজন কর্মী গিয়েছে বলে শুনেছি। তবে কোনও নেতা যায়নি।”





