পূর্ব মেদিনীপুর: বাপের বাড়ির অদূরেই মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তুলছে পরিবার। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে।
এ বিষয়ে মৃত মহিলার পরিবারের তরফে কোনও লিখিত অভিযোগও জমা পড়েনি পুলিশের কাছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ভূপতিনগর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক মহম্মদ আলি জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত হচ্ছে।
বছর কুড়ি আগে ওই মহিলার বিয়ে হলেও পটাশপুরে শ্বশুরবাড়িতে ঠাঁই মেলেনি তাঁর। বিয়ের মাস দুয়েক পর থেকে বাপের বাড়িতেই থাকতেন তিনি। দিনমজুরি করে জীবনযাপন হত তাঁর।
বাপেরবাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে খোঁজ মিলছিল না তাঁদের বাড়ির মেয়ের। পরিবারের তরফ থেকে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ বাড়ির অদূরে ফাঁকা মাঠে গাছতলায় তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মহিলার পরনের কাপড় ঠিকঠাক অবস্থায় ছিল না। প্রায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে ছিল দেহটি। সে কারণে তাঁরা মনে করছেন যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে ওই মহিলার ওপর। তারপর প্রমাণ লোপাট করতে গলা টিপে খুন করা হয়েছে। মহিলার জিভ বেরিয়ে ছিল। সেক্ষেত্রে শ্বাসরোধ করে খুন বলেই অনুমান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ভূপতিনগর থানার পুলিশ। মৃতদেহের অপ্রকৃতিস্থ অবস্থা দেখে ধর্ষণ-খুন মনে করছে পুলিশও। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে মৃত্যুর কারণ।