Nandigram : ‘একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাসী শুভেন্দু’, নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীদের ক্ষোভ নিয়ে তোপ অখিলের

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

May 24, 2022 | 11:10 PM

Nandigram : ক্ষোভ থাকলেও দল ছাড়বেন না বলে জানালেন প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি জয়দেব দাস। সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করে যাবেন বলে জানিয়ে দিলেন।

Nandigram : একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাসী শুভেন্দু, নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীদের ক্ষোভ নিয়ে তোপ অখিলের
নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীদের ক্ষোভ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করলেন অখিল গিরি

Follow Us

নন্দীগ্রাম : রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিধানসভা কেন্দ্র। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সবার নজর ছিল এই কেন্দ্রের দিকেই। যেখানে মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং তাঁর একসময়ের সঙ্গী শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। বিধানসভা নির্বাচনে মমতাকে ১৯৫৬ ভোটে হারিয়ে নন্দীগ্রামে নিজের জমি আরও শক্ত করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু। সেই নন্দীগ্রামেই বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তবে গেরুয়া শিবিরের স্থানীয় নেতৃত্বের বক্তব্য, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়েছে। বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল। নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর একনায়কতন্ত্র বিজেপি কর্মীরা মানতে পারছেন না বলে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি।

বিজেপির তরফে জেলা ও মণ্ডল নেতৃত্বের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে খুশি নন গেরুয়া শিবিরের নন্দীগ্রাম ১ দক্ষিণ মণ্ডলের কর্মীরা। নন্দীগ্রাম ১ দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে জয়দেব দাসকে। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁর অনুগামীরা। তাঁদের বক্তব্য, “জয়দেব দাস একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে সফলভাবে দায়িত্ব সামলেছেন। তা সত্ত্বেও জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব সঠিক বিচার না করেই তাঁকে পাশের বিধানসভা কেন্দ্রের অবজার্ভার করে দেন। তা আমরা মানব না। দল যদি কথা না শোনে তা হলে আমরা ইস্তফা দিতে বাধ্য হব।”

তাঁকে পদ থেকে সরানো নিয়ে জয়দেব দাস বলেন, “নন্দীগ্রাম ১ দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতির দায়িত্ব সামলেছি বিগত তিন বছর ধরে। গুটিকয়েক জেলা নেতার অঙ্গুলিহেলনে এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একবারও জানতে চাওয়া হয়নি আমাদের বা কর্মীদের থেকে। স্বাভাবিক ভাবে এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। দল যদি চিন্তা না করে তাতে আমরা সবাই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব। আশা করি দল ভাববে আমাদের কথা। কারণ মোদীজীর আদর্শে আমরা অনুপ্রাণিত। তাই ভালবেসেই ভারতীয় জনতা পার্টি করি।” তমলুক সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও এই মর্মে চিঠি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। গণইস্তফার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে ক্ষোভ থাকলেও দল ছাড়বেন না বলে জানালেন জয়দেব দাস। সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করে যাবেন বলে জানিয়ে দিলেন।

জয়দেব দাসের জায়গায় মণ্ডল সভাপতি করা হয়েছে শ্যামাপ্রসাদ মাইতিকে। জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অনুগামী মেঘনাথ পালের ঘনিষ্ঠ শ্যামাপ্রসাদ মাইতি। দলের এই ক্ষোভ বিক্ষোভ নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

এই প্রসঙ্গে, তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে আমাদের পার্টি পরিচালিত হয়। সাময়িকভাবে কারও কারও ক্ষোভ বা প্রশ্ন ছিল। তবে তা মিটে গিয়েছে।”

বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ নিয়ে শুভেন্দুকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি বলেন, “একাধিক জেলায় বিজেপির অসন্তোষ অব্যাহত। এই তো সেদিন বিজেপির সাংসদ আমাদের দলে যোগদান করলেন। আমরা কাউকে বলছি না আসতে। তাঁরা নিজেরাই আসার জন্য আবেদন করেছেন। মূলত বিজেপির মণ্ডল চালানোর লোক নেই। শুভেন্দুর দল চালানোর নীতিতেই বিজেপি ছাড়তে চাইছেন অনেকেই। তৃণমূলে যখন ছিল, তখন যেমন এখন ওখানেও তেমনি রয়েছে। একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাসী। সেই কারণেই এই সমস্যা। আমাদের জেলা-সহ একাধিক জেলায় বিজেপির লোক আসার জন্য মুখিয়ে আছে। যদি তেমন কেউ আসতে চায় তা হলে জেলা কমিটিতে আবেদন করতে হবে। পরে রাজ্যের মঞ্জুরি পেলেই নেওয়া হবে।”

Next Article