দিঘা: কয়েকদিন আগেই মন্দারমণি, এবার দিঘা। এ যেন অভিযানের সিরিজ চলছে উপকূলের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে। মধুচক্র ভাঙতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে পুলিশ। তাতেই একের পর এক সাফল্য। হোটেলে হোটেলে রমরমিয়ে চলছে দেহ ব্যবসা। রাত বাড়লেই ভিড় বাড়ছে অচেনা-অজানা তরুণীদের। বসছে মদের আড্ডা। তারপরই রাতভর মধুচক্রের আসর। অনেকেই বলছেন এ ছবি তো নতুন নয় দিঘা-মন্দারমণিতে! তাহলে নতুন করে কী হল? কেউ কেউ বলছেন ঘুম ভেঙেছে পুলিশের। তাতেই বিগত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় অভিযান চলছে সৈকত পাড়ের হোটেলগুলিতে।
এরইমধ্যে এবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দিঘার বেশ কয়েকটা হোটেলে হানা দিল দিঘা মোহনা উপকূল থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, এই হোটেলগুলিতে অবৈধভাবে মেয়ে রেখে ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছিল। এদিন পুলিশি অভিযানে নতুন করে ৬ জন তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দিঘায়।
এদিনের অভিযানে মোহনা থানার আধিকারিকরা তো ছিলেনই, সঙ্গে ছিলেন ডি এস পি ডিএন্ডটি আবুনুর হোসেনও। এদিকে গত কয়েকদিনে শুধু মন্দারমণি থেকে উদ্ধার হয়েছে ১২ জন তরুণী। প্রত্যেকেই দেহ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গ্রেফতার করা হয়েছে ২৩ পুরুষকেও। গত ২৬ ও ৩১ জুলাই দু’দফায় অভিযান চলে মন্দারমণিতে। এবার পুলিশের নজর দিঘাতে। আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, খবর অনেকই আছে, অভিযানও চলতে থাকবে। এদিকে শীত হোক বা বর্ষা, দিঘা-মন্দারমণিতে ভিড় লেগে থাকে সবসময়েই। সেখানে একেবারে প্রকাশ্য দিবালোকে মধুচক্রের ব্যবসা জাঁকিয়ে বসতে চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনেরও।