পূর্ব মেদিনীপুর: জেলায় অধিকারী বনাম গিরি পরিবারের টানাটানি নতুন নয়। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দলত্যাগের পর থেকে লাগাতার একে ওপরের বিরুদ্ধে কটাক্ষ চলেই যাচ্ছে। শুক্রবার যুব সভাপতির পর আজ মৎস্য মন্ত্রী নেমে পড়লেন ময়দানে। আক্রমণ করতে ছাড়লেন না একে অপরকে।
কী বললেন অখিল গিরি?
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী বাড়িতে ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে নজরদারি চালানোর অভিযোগ এনেছিলেন। সেই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি কার্যত দিব্যেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন। বললেন, “রাজনৈতিক ভাবে অধিকারী পরিবার এখন রাজনীতিতে মূল্যহীন। এখন মিথ্যা প্রচারের আশ্রয় নিয়েছেন। সরকার কোনও ড্রোন উড়িয়ে কাঁথিতে নজরদারি চালাচ্ছেন না। ব্যক্তিগত ভাবে পাড়ার একজন ছেলে নতুন ড্রোন ক্যামেরা কিনেছিল। সেই ড্রোন ক্যামেরা পরীক্ষা করার জন্য উড়িয়ে দিয়েছিল ? কাকতালীয়ভাবে অধিকারী পরিবারের বাড়ি’ শান্তিকুঞ্জ ‘ উপর দিয়ে তা উড়ে গিয়েছে। সেটাকে প্রচারে আলোয় আনার জন্য এরকম অভিযোগ করছে। সরকার কোনও মতেই নজরদারি চালাচ্ছেন না। এই বিষয়ে সরকারের কোনও ইচ্ছা নেই। যদি কোনও নথি সংগ্রহ করতে হয় তাহলে অন্য ভাবে তদন্ত চালিয়ে নথি সংগ্রহ করবে। ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে নজরদারি চালানো ছাড়া রাজ্যে কোথাও সরকার চালায় না। এটা সমস্ত অপপ্রচার। রাজনীতি করার জন্য এইসব মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন অধিকারী পরিবার।”
এখানেই শেষ নয়। অধিকারী পরিবারের উদ্দেশ্যে কটাক্ষের সুরে বলেন, ” রাজনীতিতে বাঁচার জন্য এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কল্যাণ ব্যানার্জির নাম ধরছেন। যে কথা গুলো বলছেন সে কথার কোনও মূল্য নেই। ভিতরে ভিতরে ওরা দলের বিরুদ্ধে কাজকর্ম করছেন। সরাসরি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। দু’টো সাংসদ পদ বাঁচিয়ে রাখার জন্য মমতা ব্যানার্জি আমার নেত্রী বলে দাবি করছেন। শ্রদ্ধা করি বলছেন। ওরা সাংসদ পদ ছাড়ছেন না। আবার দলের বিরুদ্ধেও বলছেন।”
এর পাল্টা দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, ” অখিলবাবুর কোনও কথার উত্তর আমি দেব না। অখিলবাবু কি পুলিশের তদন্তকারী অফিসার ? উনি কি করে জানলেন এসব ? ওনার কাছে খবর থাকে ? উনি হয়তো লোক ঠিক করে রেখেছেন।”
প্রসঙ্গত, শান্তিকুঞ্জের উপর ড্রোন ওড়ানোর অভিযোগ উঠল। শুভেন্দু অধিকারীদের কাঁথির বাড়ি শান্তিকুঞ্জ। সেই বাড়ির উপর ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ড্রোন ওড়াচ্ছে বলে দাবি করেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। দিব্যেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, “কাঁথি কলেজ, আমার বাড়ির উপর ড্রোন ওড়ানো হচ্ছে। আমি অধ্যক্ষ মহাশয়কে ফোন করছি। উনি আমাকে খোঁজ নিয়ে বলেন পুলিশ ড্রোন ওড়াচ্ছে। আমি প্রার্থনা করব মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে, আমার পরিবার, আমার বাড়িকে এ ধরনের পরিবেশ থেকে যেন শান্তি দেন।”
আরও পড়ুন: Percel Blast: উপহার ভেবে খুলতে গিয়েই বিপত্তি! পার্সেল বিস্ফোরণে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য