Percel Blast: উপহার ভেবে খুলতে গিয়েই বিপত্তি! পার্সেল বিস্ফোরণে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
North Dinajpur: এখনও ওই টোটো চালকের কোনও খোঁজ মেলেনি।
উত্তর দিনাজপুর: শুক্রবার হেমতাবাদে পার্সেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এক ওষুধ দোকানদারের নাম লেখা একটি বাক্স নিয়ে আসেন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। সেই বাক্স খুলতেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। এবার সেই বিস্ফোরণের জেরে শনিবার চলছে এলাকার ব্যবসায়ীদের লাগাতার প্রতিবাদ। নিজ-নিজ প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বনধ কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
এদিকে তৎপর হয়েছে পুলিশও। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলার এই প্রান্তিক গ্রামে কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা? কে বা কারা এর পেছনে রয়েছে? জোড় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন এটি একটি আইইডি বিস্ফোরণ। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে এই ধরনের ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এলাকায় অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়ন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। জেলা পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের পাশাপাশি তদন্তে নেমেছে গোয়েন্দা বিভাগও।
এই বিষয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী আনোয়ার হুসেন বলেন, “আমি উল্টোদিকের দোকানে ছিলাম। একটা বিকট আওয়াজ। যার কোনও ধারণা নেই আমার কাছে। সেই আওয়াজ শুনে আমি তাকাই। তখন দেখি একজন হাউ-হাউ করে কাঁদতে-কাঁদতে রাস্তার অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। আর একজন ছটফট করছে। ওদের মুখ পুরো কালো আলকাতরা মাখা হয়ে গিয়েছে। জ্বলে গিয়েছে সব। পরে শুনি পার্সেলে ভিতর একটি সিলিং ফ্যানের কার্টুন ছিল। ওর উপরে সাদা কাগজে বাবলু চৌধুরীর নাম লেখা ছিল। যেহেতু ওনার কাছে মাঝে মধ্যে উপহার আসে তাই সেই উপহার ভেবে পার্সেল খুলতে গেছিলেন বাবলু।”
শুক্রবার কীভাবে ঘটেছিল বিস্ফোরণ?
উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদের বাহারাইল এলাকার এক ওষুধ ব্যবসায়ী বাবলু চৌধুরীর হাতে পার্সেল দিয়ে যায় এক টোটো চালক। পার্সেলটি খুলতেই বিস্ফোরণ ঘটে। বহুদুর পর্যন্ত বিস্ফোরণের আওয়াজে কেঁপে ওঠে এলাকা। গুরুতর জখম হন তিন জন। তাঁরা রায়গঞ্জ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। আহত বাবলু চৌধুরীর অবস্থা আশাঙ্কাজনক। জানা গিয়েছে, বাকি দুই ব্যক্তির নাম তপন রায় ও মহঃ সৈফুর। এদের তিনজনেরই বাড়ি বারারাইল গ্রামে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী বাবলু চৌধুরীর নামে একটি পার্সেল টোটোতে করে নিয়ে আসে এক টোটো চালক। সে সময় বাবলু ও সঙ্গে আরও কয়েকজন তার দোকানের উল্টো দিকে রাস্তার ধারেই রোদ পোয়াচ্ছিলেন। পার্সেলটিতে তার নাম ও ফোন নম্বর লেখা ছিল বলে বাবলুবাবু পার্সেলটি নেন। সেটি দিয়েই চলে যায় ওই টোটো চালক। আর পার্সেলটি খুলতেই বিস্ফোরণ ঘটে।
যদিও এটি আইইডি বিস্ফোরণ বলে পুলিশের দাবি। পাশাপাশি পারিবারিক বিবাদের কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিক অনুমান। তবে সীমান্ত এলাকার এই গ্রামে কীভাবে আইইডি বিস্ফোরণ তা নিয়ে যথেষ্টই প্রশ্ন উঠেছ। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে এই ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা ৷
অপরদিকে, সকাল থেকেই ঘটনাস্থানে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার উচ্চ পদস্থ কর্তাদের পাশাপাশি রয়েছে গোয়েন্দা বিভাগ ও বোম্ব স্কোয়াডও। তবে এখনো সেই টোটো চালকের কোনও হদিশ মেলেনি।
আরও পড়ুন: Blast at North Dinajpur: পার্সেল খুলতেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ, অগ্নিদগ্ধ চার