পূর্ব মেদিনীপুর: রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন দেগঙ্গার তৃণমূল ব্লক সভাপতি ও তাঁর ভাই। আনিসুর রহমান ওরফে বিদেশ ও আলিফ নূর রহমান ওরফে মুকুলকে গ্রেফতার করা হয় বৃহস্পতিবার রাতে। আর তাঁদের গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। আর তাতেই এবার প্রশ্ন উঠছে, রেশন দুর্নীতির জাল কি দিঘাতেও ছড়িয়ে? রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার বিদেশ এবং মুকুলের দিঘায় হোটেল রয়েছে বলে সূত্রের খবর। রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতেই কি এই হোটেল ব্যবসায় বিনিয়োগ? এখন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আতসকাচে দুই ভাইয়ের বিপুল সম্পত্তি।
রেশন দুর্নীতির তদন্তে তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নেমেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলে। তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত বাকিবুর রহমানও জেলে। এবার বাকিবুরের দুই মামাতো ভাই গ্রেফতার হয়েছেন ইডির হাতে। আর সেই দুই ভাই বিদেশ ও মুকুলের হোটেলের সন্ধান দিঘায়।
দিঘায় আনিসুর রহমান বিদেশ ও তাঁর দাদা আলিফ নূর রহমান মুকুলের বিলাসবহুল হোটেল রয়েছে বলেই সূত্রের খবর। নিউ দিঘায় বিলাসবহুল সেই হোটেল। সেই হোটেলের উদ্বোধনে নাকি গিয়েছিলেন সেলেব্রিটিরাও। এবার সেই হোটেল নিয়ে সৈকত শহরে চর্চা শুরু। এমনও সূত্রের খবর, মুকুলের নামে হোটেলের নাম রেজিস্ট্রেশন করা আছে।
বিলাসবহুল সেই হোটেলে শুক্রবার টিভিনাইন বাংলার ক্যামেরা পৌঁছতেই ম্যানেজারের মুখে কুলুপ। একটি প্রশ্নেরও জবাব দিতে চাননি তিনি। বলতে চাননি হোটেলের মালিকের নাম কী। দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ থেকে হোটেল সংগঠনগুলিও এ প্রশ্নে আগ্রহী নয়, বুঝিয়ে দিচ্ছে। তাদের বক্তব্য, কে কোন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসে হোটেল নেন, তা তাদের দেখা সম্ভব নয়। তাদের বক্তব্য, হোটেলের কাগজপত্র, জায়গাজমির কাগজপত্র ঠিক আছে কি না, দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নিয়ম মেনে হোটেল হয়েছে কি না এগুলি তারা তদারকি করে।
দিঘা হোটেল সংগঠনের সভাপতি সুশান্ত পাত্র বলেন, “আমরা তো এগুলো জানব না। টাকা আছে কিনে নিচ্ছে, কেউ বিক্রি করছে কেউ কিনে নিচ্ছে। কী কাণ্ড করে আসছে তা তো আমাদের বোঝা সম্ভব নয়।” অন্যদিকে এসডিও শৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, “জমির বৈধ কাগজপত্র আছে কি না, হোটেল বৈধ জায়গায় হচ্ছে কি না, ট্রেড লাইসেন্স আছে কি না সব এগুলো আমরা দেখি। হোটল বৈধ কি না দেখি, মালিকের যদি কোনও অপরাধমনস্তকতা থাকে বা অপরাধে জড়িয়ে পড়েন ,সেটা তো আমাদের দেখার কথা নয়।”