TMC: ২ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ, দলের নেতার বিরুদ্ধে অভিষেককে চিঠি আর এক তৃণমূল নেতার

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Dec 20, 2022 | 11:28 PM

TMC: ইতিমধ্যেই রোজিনা ও তাঁর স্বামী পাঁশকুড়া থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। চিঠি দিয়ে গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেও। তাঁদের দাবি, এ বিষয়ে প্রশাসন এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, তবে তাঁরা চান দলগতভাবে ওই দুই তৃণমুল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন অভিষেক।

TMC: ২ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ, দলের নেতার বিরুদ্ধে অভিষেককে চিঠি আর এক তৃণমূল নেতার

Follow Us

পাঁশকুড়া : দলীয় নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhisekh Banerjee) চিঠি তৃণমুল (Trinamool Congress) নেতার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য পাঁশকুড়ার রাজনৈতিক মহলে। অভিযোগ, পাঁশকুড়া ব্লকের চৈতন্যপুর ১ নম্বর অঞ্চলে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বে থাকা শেখ মুসা নামে এক ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রী রোজিনা বিবিকে লোন পাইয়ে দেওযার নামে দু লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই এলাকার আর এক তৃণমূল নেতা শেখ সানুরাজ। কাঠগড়ায় তাঁর বাবা জাহাঙ্গির আলিও। অভিযোগ তাঁর বাবাই ছেলের প্রভাব খাটিয়ে এই টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। জাহাঙ্গির আবার চৈতন্যপুর ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হিসাবে পরিচিত।  

সূত্রের খবর, পাঁশকুড়ার কালই বাজারে শেখ মুসা ও তাঁর স্ত্রী রোজিনা বিবির একটি জামাকাপড়ের দোকান রয়েছে। অভিযোগ, সেই ব্যবসা বাড়ানোর জন্য রোজিনা বিবিকে লোন পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখায় শেখ জাহাঙ্গীর আলি। কয়েক দফায় ২ লক্ষ টাকার বেশি টাকা নেওয়া হয় রোজিনা ও তাঁর স্বামীর থেকে। শেখ মুসা ও তাঁর স্ত্রী রোজিনা বিবির অভিযোগ, দীর্ঘদিন কেটে গেলেও সেই লোনের বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা করেননি ওই তৃণমূল নেতা। উল্টে টাকা চাইতে গেলে মুসা ও রোজিনাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই রোজিনা ও তাঁর স্বামী পাঁশকুড়া থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। চিঠি দিয়ে গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেও। তাঁদের দাবি, এ বিষয়ে প্রশাসন এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, তবে তাঁরা চান দলগতভাবে ওই দুই তৃণমুল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন অভিষেক। 

ঘটনা প্রসঙ্গে রোজিনা বিবি বলেন, “লোন করে দেওয়ার নাম করে আমাদের থেকে প্রায় ২ লক্ষের বেশি টাকা নেয়। প্রথমে আমাকে কলকাতায় নিয়ে গিয়েছিল জাহাঙ্গির আলি। সেখানে তিনটে ব্ল্যাঙ্ক চেক নেয় আমাদের থেকে। কিছু সাদা কাগজেও সই করিয়ে নিয়েছিল। এরপর টাকা না পেলে আমরা ওনাদের বাড়ি যাই। সেখানে গেলে আমাদের মারধর করা হয়। গালিগালাজও করা হয়। জাহাঙ্গিরের ছেলেও আমাদের গালি দেয়। এরপর আমরা পাঁশকুড়া থানাতে যাই। জেলাশাসকের কাছেও অভিযোগ জানাই। যদিও চারমাস আগে এ ঘটনা ঘটলেও এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হাতজোড় করে আমাদের টাকা ফেরত চাইছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাইছি।”

এ বিষয়ে শেখ জাহাঙ্গীর আলির ছেলে তথা এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ শেখ সানুরাজ বলেন, “যে অভিযোগ করেছে তাঁকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসেবে আমার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এটা করা হচ্ছে। আমি যাতে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট না পাই সে কারণে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি থানাকে বলেছি আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করুন। যদি আমি দোষী হই তাহলে যে শাস্তি আমাকে দেবে আমি তা মাথা পেতে নেব।”

Next Article