কাঁথি: পারিবারিক অশান্তি দীর্ঘদিন ধরেই লেগেছিল। শনিবার তা চরমে ওঠে। আর তার জেরেই মাসতুতো ভাসুরকে কাটারির কোপে খুন করার অভিযোগ উঠল মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ওই মহিলা নিজেই থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে (Contai)। নিহত ওই ব্যক্তির নাম নিমাই জানা (৪৮)। অভিযুক্ত মহিলা কবিতা মিদ্যা এদিন বিকেলে কাঁথি মহিলা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশের কাছে খুনের কথা জানিয়ে তাঁকে গ্রেফতারের আর্জি জানান। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কাঁথি মহিলা থানা মারফত ওই ঘটনার খবর দেওয়া হয় কাঁথি থানায় এবং তারপর পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করে।
জানা গিয়েছে, কাঁথির মহিষাগটের বহলিয়া গ্রামে থাকেন সুব্রত মিদ্যা। পেশায় ইটভাটার শ্রমিক। ছোটবেলা থেকেই মামার বাড়িতে থাকতেন সুব্রত। বিয়ের পরেও বাসাবদল করেননি সুব্রত। স্ত্রী কবিতাকে নিয়ে মামার বাড়িতেই থাকতেন। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। আর এদিকে মামার বাড়িতে থাকা নিয়েই যত অশান্তি। জানা গিয়েছে, সুব্রতর বিয়ের পরেও বউকে নিয়ে মামার বাড়িতে থাকায় বেশ আপত্তি ছিল সুব্রতর মাসতুতো দাদা নিমাইয়ের। এই নিয়ে অশান্তি হামেশাই লেগে থাকত। সুব্রতদের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলত।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে প্রায় ১২টা নাগাদ গলা অবধি মদ খেয়ে বাড়িতে ঢোকে নিমাই। সুব্রত তখন বাড়িতে ছিলেন না। দাদার অবর্তমানে বৌমার সঙ্গে অশান্তি শুরু করে নিমাই। অশ্লীল গালিগালাজও করা হয় বলে খবর। শুধু তাই নয়, এরপর রান্না করা ভাত, তরকারি লাথি মেরে ফেলে দেয়। আর এতেই ক্ষেপে গিয়ে কবিতা ঘর থেকে কাটারি বের করে সজোরে এক কোপ বসিয়ে দেন নিমাইয়ের গলায়। নিমেষে গলগল করে রক্ত বেরোতে থাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় নিমাইয়ের। ইতিমধ্যেই স্থানীয় মানুষজনের ভিড় জমতে শুরু করে বাসির সামনে। আর সেই সময় জনরোষের ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান কবিতা। পরে বিকেলে কাঁথি মহিলা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এই ঘটনার ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাঁথির মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা।