Sand Thief: মাত্র ৩০০ টাকার জন্য… জীবন বাজি রেখে বালি চুরির অবৈধ কারবার!

Kanishka Maity | Edited By: Soumya Saha

Jan 01, 2024 | 9:42 PM

Kolaghat: বালি চুরির অবৈধ কারবারের অভিযোগ উঠতেই টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি পৌঁছে গিয়েছিলেন কোলাঘাটে রূপনারায়ণ নদীর পাড়ে। দেখা মিলে যায় বালি চুরির কারবারের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের সঙ্গেও। তারা অবশ্য বালি চুরির কথা স্বীকার করে নিচ্ছে।

Sand Thief: মাত্র ৩০০ টাকার জন্য... জীবন বাজি রেখে বালি চুরির অবৈধ কারবার!
রূপনারায়ণ নদী
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কোলাঘাট: প্রশাসনের নাকের ডগায় এ কী কাণ্ড! রূপনারায়ণের চরে দেদার চলছে বালি ‘চুরির’ কারবার। এমনই অভিযোগ উঠে আসছে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে। রূপনারায়ণের চর থেকে বালি চুরির অভিযোগ মেনে নিলেও প্রশাসনের দাবি, চুরির ঘটনা কোলাঘাটের দিকে নয়, বরং নদীর উল্টো দিকের চরে হচ্ছে। কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুরজিৎ মান্নার বক্তব্য, ‘কোলাঘাটের দিকে কোনও চর নেই। কোলাঘাটের দিক থেকে বালি চুরি হচ্ছে না। হাওড়ার দিক থেকে চুরি হচ্ছে। তারপর সেগুলি মজুত করা হচ্ছে কোলাঘাটের দিকে।’

এদিকে এলাকায় বালি চুরির অবৈধ কারবারের অভিযোগ উঠতেই টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি পৌঁছে গিয়েছিলেন কোলাঘাটে রূপনারায়ণ নদীর পাড়ে। দেখা মিলে যায় বালি চুরির কারবারের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের সঙ্গেও। তারা অবশ্য বালি চুরির কথা স্বীকার করে নিচ্ছে। কোনও সরকারি অনুমতি ছাড়াই বালি তোলার কথা স্বীকার করে নিচ্ছে তারা। বলছে, ‘পেটের তাগিদে এসব করতে হয়। নাহলে খাব কী! সারা দিনে এই কাজ করে হয়ত ৩০০-৩৫০ টাকা পাই।’ তাদের অকপট স্বীকারোক্তি, ‘আমরা কী করব! আর তো কোনও কাজ জানি না। বাপ-ঠাকুরদার আমল থেকে এই কাজ করেই খাচ্ছি। এই কাজ করতে না পারলে, আমরা আর খেতে পারব না। পেটের জ্বালায় আমরা এই কাজ করতে এসেছি।’

ওই অবৈধ কারবারের সঙ্গে যুক্ত লোকজনের বক্তব্য,  নদীর চর থেকে বালি তুলে এনে তারা কখনও কোনও বরাতদাতার কাছে কিংবা কখন ঠিকাদারের কাছে সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়। দিনে এই চত্বরে প্রায় ৩০-৪০ জন ব্যক্তি এই অবৈধ কারবার চালায় বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসনও। গতকালের এক অভিযানে কোলাঘাট থানার পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে এই অবৈধ কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে বলে জানা যাচ্ছে।

Next Article